পতৌদি ট্রফি নামকরণ বিতর্ক! গাভাস্কারের ক্ষোভ, বিসিসিআইয়ের পদক্ষেপ

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ২০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আইকনিক পতৌদি ট্রফির (Pataudi Trophy) নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম…

Pataudi Trophy Renaming Row

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ২০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য আইকনিক পতৌদি ট্রফির (Pataudi Trophy) নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (BCCI) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) যৌথভাবে ট্রফির নাম পরিবর্তন করে এটিকে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি নামকরণ করেছে, যা ২০০৭ সালে প্রয়াত মনসুর আলি খান পতৌদির সম্মানে প্রবর্তিত হয়েছিল।

গাভাস্কার তাঁর স্পোর্টস্টারের সাপ্তাহিক কলাম ‘অন দ্য রাইট লাইন’-এ এই সিদ্ধান্তকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, পতৌদির নাম বাদ দেওয়া তাঁর ভারতীয় ক্রিকেটে অবদানের প্রতি ‘সংবেদনশীলতার অভাব’ প্রকাশ করে। গাভাস্কার লিখেছেন, “ইসিবি পতৌদি ট্রফি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে টেস্ট সিরিজের বিজয়ীদের দেওয়া হতো। এটি প্রথমবার যে কোনো ব্যক্তির নামে নামকরণ করা ট্রফি প্রত্যাহারের কথা শোনা গেল। এটি পতৌদি পরিবারের ইংল্যান্ড ও ভারতের ক্রিকেটে অবদানের প্রতি সংবেদনশীলতার অভাব দেখায়।”

   

নতুন ট্রফির নামকরণ করা হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সচিন তেন্ডুলকর (২০০ টেস্টে ১৫,৯২১ রান) এবং ২০২৪ সালে অবসর নেওয়া সর্বাধিক উইকেট শিকারী ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসনের (৭০৪ উইকেট) নামে। গাভাস্কার বলেন, “ইসিবি তাদের ক্রিকেটারের নামে ট্রফির নামকরণ করতে পারে, কিন্তু আমি এবং ভারতের অসংখ্য ক্রিকেট সমর্থক আশা করি, কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবেন। এটি শুধু পতৌদির প্রতি সম্মান জানানোই নয়, ভবিষ্যতে তাঁদের নামেও ট্রফি প্রত্যাহারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।”

Advertisements

ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিসিসিআই পতৌদির উত্তরাধিকার রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। সংবাদে জানা গেছে, বিসিসিআই ইসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে, আসন্ন টেস্ট সিরিজে ম্যাচ-পরবর্তী কোনো পুরস্কার প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের নামে নামকরণ করতে। এই পদক্ষেপ পতৌদির অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।