বর্তমানে তথৈবচ পরিস্থিতি ভারতীয় ফুটবল দলের। ইগর স্টিমাচের পর মানোলো মার্কুয়েজের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব আসায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই মিলেছে হতাশা। জয়ের সরণিতে ফিরতে কার্যত কালঘাম ছুঁটে গিয়েছিল ব্লু-টাইগার্সদের। তারপরে ও অনেকে মনে করেছিল যে এবার হয়তো ধীরে ধীরে নিজেদের পুরনো ছন্দ ফিরে পাবে ভারতীয় ফুটবল দল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। জুনের প্রথমদিকেই থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। কিন্তু সেই ম্যাচে দুইটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল সুনীল ছেত্রীদের।
দলের এমন পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছিল সকলকে। কিন্তু তবুও এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচে হংকংয়ে বিপক্ষে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু সেখানে ও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারতীয় ফুটবল দল। আসলে গোটা ম্যাচ জুড়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার পাশাপাশি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করার মাশুল গুনতে হয় ম্যাচের শেষ মুহূর্তে। অতিরিক্ত সময় পেনাল্টি আদায় করে প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। সেখানেই ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে পরাজিত করে গোল করে যান স্টিফেন পেরেইরা। তারপর আর ম্যাচে ফিরে আসার সময় পায়নি ব্লু-টাইগার্সরা।
যারফলে শেষ পর্যন্ত একটিমাত্র গোলের ব্যবধানেই জয় ছিনিয়ে নেয় হংকং ফুটবল দল। একটা সময় ভারতের মাটিতে ভারতীয় ফুটবল দলের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল হংকং তাঁদের কাছে এমন পরাজয় যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তবে আগামী দিনে বাকি ম্যাচ গুলিতে দল যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন জাতীয় দলের ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান। তবে সেটা হওয়া যে খুব একটা সহজ নয় সেটা ভালো মতোই জানেন সকলে। এসবের মাঝেই জাতীয় দলের এমন খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে মুখ খুললেন পার্থ জিন্দাল (Parth Jindal)।
নিজের সোশ্যাল সাইটে তিনি লেখেন, ” এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভারতীয় ফুটবল দলের কোনও পরিস্থিতিতেই এই রকম পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া যায় না। ফেডারেশনের এসব বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আমরা যারা ভারতীয় ফুটবলের প্রেমে এবং সঙ্গে আছি, আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দিয়ে এইরকম কিছু দেখার জন্য অপেক্ষা করিনি। এমন একজন কোচ এবং একটি কার্যকরী সিস্টেম আনা উচিত যা সত্যিই কাজ করে। সময় হয়ে গেছে। এত পরিশ্রমের পর যদি এইরকম ফলাফল হয়, তাহলে তা মেনে নেওয়া অসম্ভব।”