চিন ও পাকিস্তান একে অপরের বন্ধু বলে পরিচিত। এবার এই বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পাকিস্তান বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাইওয়ানে আগামী ৮ থেকে ১৫ জুলাই হতে ছিল এভিসি চ্যালেঞ্জ কাপে (AVC Challenge Cup) যোগ দানের ব্যাপারে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক তাদের দলকে অনুমতি দেয়নি বলে খবর। ক্রীড়া ক্ষেত্রের নিরিখে পাকিস্তান ভলিবল ফেডারেশনের (পিভিএফ) জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়তো খুব একটা ভালো নয়। ইতিমধ্যে খেলোয়াড়রা শুরু করে দিয়েছিলেন প্রস্তুতি।
যদিও ২০১৬ সালে পাকিস্তান একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য চাইনিজ তাইপেই সফর করেছিল এবং সেক্ষেত্রে তখন কোনো আপত্তি জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, নীতি মোতাবেক পাকিস্তানের দলগুলো তাইওয়ানে অংশ নিতে পারবে না।পিভিএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান থেকে সরে আসা পাকিস্তানের জন্য খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন হবে না। যেহেতু আমরা ২০১৬ সালে তাইওয়ানে একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলাম, তাই আমরা মনে করি আগামী দিনেও কোনো সমস্যা দেখা দেবে না।”
আইওসির বার্তা অনুযায়ী, খেলার মাঠ এবং রাজনীতিকে কখনও মেলানো উচিৎ নয়। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত অলিম্পিক কমিটির বার্তার একেবারে বিপরীত। আগামী দিনে পাকিস্তানের জাতীয় দলের ওপর কমিটির শাস্তির খাঁড়া নেমে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।পিভিএফের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন পাকিস্তানকে ভবিষ্যতের ইভেন্ট নিষিদ্ধ করতে পারে। এটা আমাদের জন্য খুব বড় ক্ষতি হবে।’
তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে মনে করে। অন্যদিকে চিন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে থাকে। চিন ও তাইওয়ানের সীমান্তে প্রায়শই উত্তেজনা বিরাজ করে। এ কারণেই চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পাকিস্তান তাইওয়ানে দল পাঠাচ্ছে না বলে অনেকে মনে করছেন।