কিছুদিন আগেই লেবানন কে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছে ভারতীয় ফুটবল দল। যা দেখে খুশি সকলেই। তবে সেই টুর্নামেন্ট শেষ করে মাত্র দুই একদিনের মধ্যেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অভিযান শুরু করেছে সুনীল ব্রিগেড। যেখানে প্রথম ম্যাচেই তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। নির্ধারিত সময়ের নিরিখে ৪-০ গোলে সেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে পাক সমর্থকরা। পরবর্তীতে এই ম্যাচ প্রসঙ্গে পাক সাংবাদিক শোয়েব জাট নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে বলেন, যে ভারতে খেলতে আসার শুরু থেকে তাদের কি কি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই পোস্ট। তারপর থেকে তাকে ট্রোল করতে শুরু করে ভারতীয় সমর্থকরা।
ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র কিছু ঘন্টা আগে বেঙ্গালুরু এসে পৌঁছেছিল গোটা পাক দল। তাও একসাথে সকলকে আনা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। মূলত ভেঙে ভেঙে দুটিভাগে সমস্ত পাক ফুটবলারদের আনতে হয়েছে কান্তিরাভার নিকট হোটেলে। এছাড়াও মুম্বাই আসা থেকে শুরু করে বহু ঝক্কির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। যারফলে, পাক ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে, এই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হলেও তা মেনে হয়নি। এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করেই বিশেষ পোস্ট করেছিলেন ওই পাক সাংবাদিক। পরবর্তীতে যা নিয়ে তাকে ট্রোলড করা শুরু করে ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ।
মূলত তার পোস্ট কে সামনে রেখে ট্রোলড করে ভারতীয় ফুটবলের একটি ফেসবুক পেজ। যেখানে দেখানো হয় হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আরে ভাই অমন করে আর কেঁদো না। তোমাদের চোখের জলে টিম হোটেল ভেসে যাচ্ছে।” আসলে ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট সরগরম ছিল কান্তিরাভা স্টেডিয়াম। প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় সুনীল ছেত্রীর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রীতিমতো তেঁতে উঠতে থাকে পাক দল।
পরবর্তীতে ২-০ গোলে ভারত এগিয়ে যাওয়ার পর পাক ফুটবল দলের থ্রো ইন ঘিরে দেখা দেয় ভুল বোঝাবুঝি। যারফলে, সেইসময় পাক ফুটবলার আবদুল্লা ইকবাল কে থ্রো করা থেকে বাঁধা দেন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। যা নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা দেখা দেয় মাঠের মধ্যে। যদিও পরবর্তীতে স্টিমাচ কে রেডকার্ড দেখানোর পাশাপাশি দুই দলের ফুটবলারদের সাবধান করে পরিস্থিতির সামাল দেন ম্যাচ রেফারি