নতুন বছরের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC)। শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে পরাজিত হওয়ার পর হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও কাজের কাজ সেরকম কিছুই হয়নি। বরং অস্ট্রেলিয়ান তারকা জেমি ম্যাকলারেনের গোলে পরাজিত হতে হয় মশাল ব্রিগেডকে। যারফলে একটা সময় অস্কার ব্রুজনের (Oscar Bruzon) হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি দেখা দিলেও আবার ও যেন পুরনো রোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ময়দানের এই প্রধান। তার উপর যুক্ত হয়েছে চোট আঘাতের সমস্যা।
ইতিমধ্যেই এসিএল ইঞ্জুরির দরুন ছিটকে গিয়েছেন ফরাসি তারকা মাদিহ তালাল। চলতি সিজনে আর মাঠে নামতে পারবেন না এই তারকা। এছাড়াও গত মুম্বাই ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোটের কবলে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় সেন্টার ব্যাক আনোয়ার আলিকে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা ছিল সকল সমর্থকদের কাছে। হিসাব অনুযায়ী দেখলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসতে এখনও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে জাতীয় দলের এই ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডারের। এই পরিস্থিতিতে হিজাজি মাহেরের পাশাপাশি হেক্টর ইউস্তে এবং লালচুংনুঙ্গার মতো ফুটবলারদের উপর ভরসা রাখতে হবে দলের নয়া কোচকে।
সেইসাথে সাউল ক্রেসপো ফিরে আসার দিকে ও নজর রয়েছে সকলের। এক কথায় বলতে গেলে কোচ বদলের পর ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও চোট আঘাতের সমস্যায় সেই আশা বর্তমানে অনেটাই ক্ষীন। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আসন্ন গোয়া ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিতে হবে লাল-হলুদ শিবিরকে। নিজেদের ঘরের মাঠে এফসি গোয়া যে কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না লাল-হলুদ কোচ। এক্ষেত্রে ডেভিড লালহানসাঙ্গা থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসদের পাশাপাশি এবার সকলের নজর থাকবে রিচার্ড সেলিসের (Richard Celis) দিকে।
সপ্তাহ কয়েক আগেই ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ডকে সই করিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। পূর্বে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও ভারতের মাটিতে আদৌও কতটা সফল হন এখন সেটাই দেখার বিষয়। গোয়া ম্যাচের আগে তাঁর প্রসঙ্গে অস্কার ব্রুজন বলেন, ” সেলিস (Richard Celis) যথেষ্ট তীক্ষ্ণ একজন ফুটবলার। শারীরিক দিক থেকে ও সে যথেষ্ট ফিট। আশা রাখি আমাদের গোলের খরা মেটানোর ক্ষেত্রে ওর যথেষ্ট অবদান থাকবে। ওর জন্য আমরা ফাইনাল থার্ডে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি।”