গতবারের হতাশা ভুলে নতুন মরসুমে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। সেইমতো অনেক আগে থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ক্লাব। বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক দেশীয় প্রতিভার দিকে নজর ছিল ম্যানেজমেন্টের। যাদের মধ্যে অধিকাংশের সঙ্গেই ইতিমধ্যে চুক্তি সেরে ফেলেছে কলকাতার এই ফুটবল দল। সময় এগোনোর সাথে সাথেই সরকারিভাবে তাঁদের নাম ঘোষণা করতে শুরু করেছে ম্যানেজমেন্ট। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে লালরামসাঙ্গা ত্লাইচুনের নাম। আগের সিজনে আইলিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব রিয়াল কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর পঁচিশের এই তারকা।
এবার তাঁকে দলে টেনেছে লাল-হলুদ শিবির। তিন মরসুমের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে এবার ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে চলেছে এই ফুটবলারকে। তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে ভরসা জোগাতে পারে দলের মাঝমাঠে। শেষ আইলিগে মাঝমাঠ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি তিনটি গোল ও করেছিলেন তিনি। সেটা নিঃসন্দেহে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ যুক্ত করেছিল দলকে। রামসাঙ্গার যোগদানের প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজন (Oscar Bruzon) বলেন, ” রামসাঙ্গার খেলার ধরণ মূলত প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভোঁতা করে দেওয়া। বল দখলে নেওয়া এবং দলকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার জন্য পাস দেওয়া। সে গোল এবং অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে, যা তাঁর রক্ষণাত্মক দায়িত্বের পাশাপাশি তার আক্রমণাত্মক দক্ষতা প্রমাণ করে।”

আরও বলেন, “গত সিজনে তাঁর দৃঢ় পারফরম্যান্স ইঙ্গিত দেয় যে সে আমাদের মিডফিল্ডে একজন নির্ভরযোগ্য এবং নিয়মিতভাবে দলকে সহায়তা করার মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে।” একইভাবে তাঁর যোগদান প্রসঙ্গে হেড অফ ফুটবল তথা থাংবোই সিংটো জানান, ” রামসাঙ্গা আমাদের দলে অনেক গভীরতা যোগ করবে। গত আইলিগে তাঁর ধারাবাহিকতা ইঙ্গিত দেয় যে সে এখন আরও উচ্চতর স্তরে পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত। আমরা তাঁকে এবং মার্তন্ড রায়নাকে লিগ থেকে খুঁজে বের করতে এবং যোগ করতে পেরে আনন্দিত।”
আরও যোগ করেন, “আমরা আশা করি রামসাঙ্গা আমাদের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং সে দলের জার্সির জন্য তাঁর সর্বস্ব উৎসর্গ করবে।”