আইএফএয়ের আহ্বানে খেলোয়াড় ছাড়তে ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য অস্কার ব্রুজোর

oscar-bruzon-east-bengal-fc-national-team-players

কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (ISL) একটি দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC) ভারতীয় জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে সর্বদা প্রস্তুত। এই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন দলের স্প্যানিশ হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) প্রকাশিত একটি পোস্টে ব্রুজো বলেন, “আমরা সর্বদা জাতীয় দলের জন্য ফুটবলারদের ছাড়তে প্রস্তুত। কিছু দল ইতিমধ্যে খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিয়েছে।  তবে, আমরাও উপযুক্ত সময়ে জাতীয় ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড়দের ছাড়ব।” এই বিবৃতি টর্চ বেয়ারার্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে, যা ইস্টবেঙ্গলের অফিসিয়াল ফ্যান পেজ হিসেবে পরিচিত।

Advertisements

এই ঘোষণা এসেছে সেই সময়ে যখন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএ) ডুরান্ড কাপ চলাকালীন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, ইস্টবেঙ্গল এবং জামশেদপুর এফসি-এর মতো দলগুলির কাছে ১৩ জন খেলোয়াড়ের জাতীয় ক্যাম্পে যোগদানের অনুরোধ জানিয়েছে। নতুন কোচ খালিদ জামিলের নেতৃত্বে ভারতীয় দল আগামী অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে। এই প্রস্তুতির জন্য ২০শে সেপ্টেম্বর থেকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্যাম্প শুরু হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে আনোয়ার আলি, জিকসন সিং, মহেশ সিং এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের নাম উঠে এসেছে।

   

ব্রুজোর এই মনোভাব ইস্টবেঙ্গলের জাতীয় দলের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতীক। তিনি যোগ করেন, “এটি শুধু ক্লাবের দায়িত্ব নয়, বরং ভারতীয় ফুটবলের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।” এই বিবৃতি সমর্থকদের মধ্যে প্রশংসা জাগিয়েছে। টর্চ বেয়ারার্সের পোস্টটি মাত্র তিন ঘণ্টায় হাজার হাজার লাইক এবং শেয়ার পেয়েছে। ফ্যানরা কমেন্টে লিখছেন, “এই হলো আমাদের ইস্টবেঙ্গল—দেশের জন্য সবসময় প্রস্তুত!”

Advertisements

ইস্টবেঙ্গলের সামনে এখন সুপার কাপের চ্যালেঞ্জ। ডুরান্ড কাপে সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি-এর কাছে হেরে যাওয়ার পর দল রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। কোচ ব্রুজো ফিটনেস এবং ট্যাকটিক্সের উপর জোর দিচ্ছেন। নতুন সাইনিং হিরোশি ইবুসুকির যোগদানও অপেক্ষার। জাতীয় দলের ক্যাম্পের কারণে কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত থাকলেও, ব্রুজোর বিবৃতি দলের ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।

এই ঘটনা ভারতীয় ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষণ। ক্লাব এবং জাতীয় দলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়লে দেশের ফুটবল আরও শক্তিশালী হবে। সমর্থকরা এখন উত্তেজিত—সুপার কাপে লাল-হলুদের নতুন অধ্যায়ের অপেক্ষায়!