ডুরান্ড কাপের নাম প্রত্যাহারের তালিকায় ওডিশা এফসি!

ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ (Odisha-Fc)। একসময় এই টুর্নামেন্ট ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। দেশের সর্বোচ্চ লিগ…

Odisa-Fc withdrawing their name

ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ (Odisha-Fc)। একসময় এই টুর্নামেন্ট ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। দেশের সর্বোচ্চ লিগ ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) একের পর এক এই বছর ক্লাব ডুরান্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে (Odisha-Fc)। মুম্বই সিটি এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, চেন্নাইয়িন এফসি-র পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল ওডিশা এফসি (Odisha-Fc)। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এভাবে কি ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা?

Advertisements

   

ওডিশা এফসির (Odisha-Fc) সরে দাঁড়ানোর পেছনে একাধিক কারণ উঠে আসছে। শোনা যাচ্ছে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) অচলাবস্থা এবং টুর্নামেন্ট ক্যালেন্ডারের অনিশ্চয়তা এর পেছনে মূল কারণ। আগামী ১৪ জুলাই শীর্ষ আদালতের একটি রায় আসার কথা রয়েছে যা ফেডারেশনের বর্তমান প্রশাসনিক জট খুলতে পারে। কিন্তু তার আগে ফুটবল ক্লাবগুলো নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। আর সেই অনিশ্চয়তাই তাদের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহ করছে।

এছাড়াও ওডিশা (Odisha-Fc) এফসির নিজস্ব কৌশলগত পরিকল্পনার কথাও উঠে আসছে। গত মরসুমে আইএসএলে খুব একটা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি দলটি। ডুরান্ড কাপ থেকেও নকআউটে ছিটকে গিয়েছিল তারা। সেই ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এই বছর তারা পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাইছে আইএসএল-এর প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে। শোনা যাচ্ছে, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে চলেছে দলের প্রস্তুতি পর্ব। তাই ডুরান্ড কাপের সময়সূচির সঙ্গে সেই প্রস্তুতি সংঘর্ষে আসায়, ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘গণতন্ত্র হত্যায় আপত্তি আছে’, মত মমতার

অন্যদিকে, ডুরান্ড কাপের (Odisha-Fc) প্রতি ক্লাবগুলোর আগ্রহ কমে যাওয়ার ফলে প্রতিযোগিতাটির জৌলুস কার্যত ফিকে হয়ে যাচ্ছে। একদিকে আইএসএলের বড় দলগুলো যেমন নেই, তেমনই আই লিগ থেকেও ইন্টার কাশী ও নেরোকা এফসির মতো দলগুলো অংশগ্রহণ করছে না বলে শোনা যাচ্ছে।

এক সময় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান স্পোর্টিং-এর মতো ক্লাবগুলোর টার্গেট থাকত ডুরান্ড কাপ জয় করা। সেখান থেকে আজ দেশের শীর্ষস্থানীয় দলগুলো যদি এই টুর্নামেন্টকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে ডুরান্ড কাপ শুধুই নামমাত্র একটি টুর্নামেন্ট হয়ে থাকবে।