দাপুটে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে সিজন শুরু করতে বদ্ধপরিকর ছিল ওডিশা এফসি (Odisha FC)। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল আইএসএলের টানা দুইটি ম্যাচ। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সমর্থকদের। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল জগন্নাথ ধামের এই ফুটবল দল। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে দুর্বল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করলেও নতুন বছর থেকেই একেবারে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছিল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। সহজেই তাঁরা পরাজিত করেছিল মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেদের। তারপর চেন্নাইয়িন এফসির সঙ্গে পয়েন্ট নষ্ট করতে হলেও ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি একবারের সুপার কাপ জয়ীদের।
খুব সহজেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সকে। তারপর সেই ছন্দ বজায় ছিল কর্নাটকের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে। সেটা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল গোটা দলের। এই ছন্দ বজায় রেখেই হুয়ান পেদ্রো বেনালির নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছিল ওডিশা দলকে। স্বাভাবিকভাবেই কঠিন হয়ে উঠতে শুরু করেছিল সুপার সিক্সের লড়াই। কিন্তু তবুও লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নক আউট নিশ্চিত করতে মরিয়া ছিল সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। তারপর কলিঙ্গ সুপার কাপে প্রভাব ফেলার লক্ষ্য থাকলেও পাঞ্জাব এফসির কাছে ধাক্কা খেয়ে প্রথম ম্যাচেই বিদায় নিয়েছিল ওডিশা। তবে সেইসব ভুলে আগামী ফুটবল মরসুমের জন্য বহু আগে থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে নয়া ফুটবলার সই করানোর পাশাপাশি দলের বেশকিছু ফুটবলারদের বিদায় জানাতে মরিয়া ছিল এই ফুটবল দল। সেইমতো গত কয়েকদিনে দলের প্রায় তিন ফুটবলারকে বিদায় জানিয়েছিল ওডিশা কতৃপক্ষ। এবার আরো দীর্ঘ হয়েছে সেই তালিকা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে দলের এক মিজো উইঙ্গার।
তিনি জেরি মাহিমিংথাঙ্গা। গত কয়েক সিজন আগেই আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাবে যোগদান করেছিলেন এই ভারতীয় তারকা। যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই তারকা। গত সিজনে মোট ২২টি ম্যাচ খেলে ৫টি গোলের পাশাপাশি ২টি অ্যাসিস্ট ছিল এই তারকার। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা খুশি ছিল না ম্যানেজমেন্ট। অবশেষে তাঁকে বিদায় জানিয়ে দিল ওডিশা।
