বিগত কয়েক সিজন ধরেই ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে আসছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি দল বদলের বাজারে ও দাপট থেকেছে ময়দানের এই প্রধানের। সেই সময় দেশের অন্যান্য ফুটবল ক্লাব গুলিকে পেছনে ফেলে নুনো রেইসকে (Nuno Reis) সই করিয়ে ছিল মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। একটা সময় এই পর্তুগিজ তারকাকে দলে টানার জন্য পড়শী ক্লাব আসরে নামলেও শেষ বেলায় চমক দিয়েছিল সবুজ-মেরুন। যারফলে সপ্তম বিদেশি হিসেবে তিনি যোগদান করেছিলেন মোহনবাগানে। ময়দানের এই প্রধানে যোগদানের পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সিটির হয়ে খেলেছিলেন জেমি ম্যাকলারেনের এই সতীর্থ ফুটবলার।
স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল সকল সমর্থকদের। বিশেষ করে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ে তাঁর উপর ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল সকলের। কিন্তু নানাবিধ পরিস্থিতির দরুন প্রথম ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বের আর কোনও ম্যাচ খেলিনি মোহনবাগান। যারফলে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। তারপর দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট তথা আইএসএল সহ সুপার কাপের মতো টুর্নামেন্টে দল দাপিয়ে খেললেও পরবর্তীতে আর সেভাবে সুযোগ পাননি নুনো রেইস। যারফলে নতুন সিজনে তাঁর দলে থাকা নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা।
তবে পরবর্তীতে মোহনবাগান থেকে বিদায় নেন এই পর্তুগিজ ফুটবলার। তারপর থেকেই এই সেন্টার ব্যাককে দলে নিতে আসরে নেমেছিল আইএসএলের একাধিক ফুটবল ক্লাব। যার মধ্যে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল হায়দরাবাদ এফসির নাম। শোনা যাচ্ছিল তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা ও নাকি অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল আইএসএল জয়ীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হয়নি। যারফলে এই নয়া সিজনের জন্য নিজের দেশের ক্লাবেই ফিরে গেলেন এই তারকা ডিফেন্ডার।
যতদূর জানা গিয়েছে, ইউনিয়াও সান্তারেমে যোগদান করেছেন নুনো। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে দলের চুক্তি রয়েছে এই ফুটবলারের। তবে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
