নর্থইস্টের সাফল্যের প্রসঙ্গে কী বললেন মন্দার তামহানে?

শেষ মরসুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) জয় করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড (Northeast United FC)। এক কথায় যা বিরাট চমক ছিল সকলের…

Mandar Tamhane Pedro Benali

শেষ মরসুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) জয় করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড (Northeast United FC)। এক কথায় যা বিরাট চমক ছিল সকলের জন্য। এবার ও বজায় থাকল সেই ধারাবাহিকতা। টুর্নামেন্টের ফাইনালে এবার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসিকে নাস্তানাবুদ করে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ট্রফি ঘরে তুলল হুয়ান পেদ্রো বেনালির ছেলেরা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই দারুন ছন্দে ছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। মালয়েশিয়ান আর্মি থেকে শুরু করে শক্তিশালী শিলং লাজং এফসি হোক কিংবা শক্তিশালী রাংদাজিয়েদ। সকলকেই প্রায় আটকে দিয়েছিল এই দল। যারফলে অনায়াসেই দল স্থান করে নিয়েছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে।

Also Read | কম্বোডিয়ায় ফুরফুরে মেজাজে মশাল কন্যারা, দেখা করলেন রাষ্ট্রদূত

   

যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল কিবু ভিকুনার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি। উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো এবার এই ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। যেখানে প্রথম থেকেই ব্যাপক ছন্দে ছিল এই ফুটবল ক্লাব। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসিকে পরাজিত করার পর সেমিতে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে টেক্কা দিয়েছিল নরহরি শ্রেষ্ঠারা। ফাইনাল কিংবা ট্রফি নির্ণায়ক ম্যাচে ও সেই ধারাবাহিকতা ফাইনালে বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও তা কার্যকরী হয়ে ওঠেনি। বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয় ডায়মন্ড হারবারকে। বলাবাহুল্য, সেদিন গোটা ম্যাচ জুড়েই দেখা গিয়েছিল আলাদিন আজারাইদের দাপট।

Mandar Tamhane's Unexpected Move: Signs with Northeast United over East Bengal

Also Read | মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন! প্রথম ডিভিশন লিগে নিজেকে প্রমাণ করছেন শ্যাম থাপা

Advertisements

যাদের ধারে কাছে একেবারেই ছিল না ডায়মন্ড হারবার এফসি। যারফলে অনায়াসেই চলে আসে জয়। সেইদিন ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যান্য ফুটবল কাপ গুলি দেওয়া হলেও মেলেনি প্রেসিডেন্ট কাপ। বলাবাহুল্য, সর্বদা এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নদের মূলত ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি শিমলা ট্রফি ও প্রেসিডেন্ট কাপ প্রদান করার রীতি রেওয়াজ চলে আসলেও এবার সেটা হয়নি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই অনন্য খেতাব পেতে চলেছে দেশের প্রথম ডিভিশন লিগের এই ফুটবল দল। সে নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহি দলের সকল ফুটবলাররা।

Also Read | এএফসির প্রিলিমিনারী রাউন্ডে নেই লাল-হলুদের এই ফুটবলার, কিন্তু কেন?

তবে এসবের মাঝেই দলের সাফল্যের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দলের CEO মন্দার তামহানে। তিনি বলেন, “গতবার যখন আমরা জিতেছিলাম, তখন আমি ছেলেদের বলেছিলাম যে জেতা একটি অভ্যাস এবং আমার মনে হয় আমাদের সেই স্তরে পারফর্ম করে যেতে হবে যাতে আমরা এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি এবং জেতার অভ্যাস পরিণত হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। সেটাই হয়েছে। তো গত বছরই আমরা ক্লাবের হয়ে প্রথম ট্রফি জিতেছিলাম এবং দ্বিতীয় বছরেই আমরা দ্বিতীয়বার জিতলাম। আমি এতে খুব খুশি। আমার মনে হয় প্রাক-মৌসুম সময়মতো শুরু করার মাধ্যমেই এটি শুরু হয়েছিল। প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য আমরা কোচিং স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের ছয় সপ্তাহ সময় দেই। আর আমি মনে করি আমরা জিতেছি, এটা কেবল এই বিষয়টির উপর জোর দেয় যে প্রস্তুতি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আর আমাদের প্রশিক্ষণের প্রথম দিন থেকেই আমরা সকল খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের জন্য রেখেছিলাম, যার মধ্যে বিদেশীরাও ছিল। তাই আমি মনে করি, কেবল কোচ এবং খেলোয়াড়দের দ্বারা নয়, ক্লাবে কর্মরত কর্মীদের দ্বারাও সমস্ত পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে। যারফলে এই সাফল্য।”