NorthEast United FC Crush East Bengal: ঘরের মাঠে বড় জয় নর্থইস্টের, হেরেই আইএসএল শেষ করল ইস্টবেঙ্গল

সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শিলংয়ের বুকে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির শক্তিশালী…

NorthEast United FC Crush East Bengal 4-0 in ISL Finale

short-samachar

সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শিলংয়ের বুকে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। দলের হয়ে এদিন জোড়া গোল পান আলাদিন আজারেই। এছাড়াও গোল পান নেস্টর আলবিয়াচ এবং মহম্মদ আলি বেমামার। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ফলাফলে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিয়েছিল নর্থইস্ট। স্বাভাবিকভাবেই গোল তুলে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বেনালির ছেলেদের।

   

বলাবাহুল্য, এদিন কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারদের সাথে একাধিক জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়েই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। সহকারী কোচ বিনো জর্জের তত্ত্বাবধানে এদিন খেলতে নেমেছিল ছেলেরা। চাকু মান্ডি থেকে শুরু করে তন্ময় দাস, সুমন দে ও হীরা মন্ডলের মতো ফুটবলাররা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করলেও সেটা বজায় থাকেনি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ফলাফল থাকলেও চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষেই গোল তুলে নেন নেস্টর। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন যুক্ত করেছিল দলের ফুটবলারদের মধ্যে। তারপর ব্যবধান বাড়াতে খুব একটা দেরি করেননি আলাদিন। জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে ম্যাচে ফেরার লক্ষ্য থাকলেও নিঃসন্দেহে চাপে পড়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারপর বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে ব্যবধান আর ও বাড়িয়ে নেয় নর্থইস্ট। তারপর কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়ে যান বেমামার।

এই জয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকেই লিগের ম্যাচ শেষ করল এবারের ডুরান্ড কাপ জয়ীরা। অপরদিকে, ২৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নবম স্থানে থাকল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছে সকল সমর্থকদের। বলাবাহুল্য, এবারের আইএসএলের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না লাল-হলুদের। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা ছয়টি ম্যাচ। কোচ বদলের পর সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় দিয়েই খাতা খুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল দল। একটা সময় সুপার সিক্সের আশা না থাকলেও অস্কার ব্রুজনের তত্ত্বাবধানে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সকল সমর্থকরা।

তবে গত বেঙ্গালুরু ম্যাচ ড্র করার পরেই সুপার সিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের। যারফলে আইএসএলের শেষ ম্যাচের তুলনায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সকলে। স্বাভাবিকভাবেই হাতে গোনা কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারদের‌ পাশাপাশি অধিকাংশ জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়েই এই নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে উভয় দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই থাকলেও তা বজায় থাকেনি শেষ পর্যন্ত।