বিশ্ব ক্রিকেটের (World Cricket) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy), ২০২৫ সালে পাকিস্তানে (Pakistan) আয়োজিত হতে যাচ্ছে। তবে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand)। এর জন্য তারা পাকিস্তানে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভেন্যুর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) অংশগ্রহণ করে, তখন তাদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হয়ে থাকে। বিশেষত এমন দেশে যেখানে রাজনৈতিক বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। এই উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে কিছু নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সাদা-কালো ব্রিগেডের বিরুদ্ধে নামার আগে বড় বার্তা ব্লাস্টার্স অধিনায়কের
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে হাইব্রিড মডেলে, যার মানে হচ্ছে পাকিস্তান এবং ভারত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ একে অপরের সঙ্গে নিজের দেশের মাটিতে খেলতে পারবে না। এই কারণে টুর্নামেন্টের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু নির্বাচিত করা হয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হলেও, ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছে। আইসিসি অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই দুই দেশ আইসিসি ইভেন্টে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে।
দল খুঁজে পেল নতুন অধিনায়ক, শিলমোহর পড়ল রিঙ্কুতে
নিউজিল্যান্ডের উদ্বেগের কারণে, তাদের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পাকিস্তানে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রেগ ডিকাসন এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ব্র্যাড রডেন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। এই স্টেডিয়ামগুলো হল করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি এবং লাহোর। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যাতে টুর্নামেন্টের আয়োজন নিরাপদ হয়।
ক্রিসমাসের আগেই বড়দিন শাটলার পিভি সিন্ধুর, শুভেচ্ছা ভক্তদের
এছাড়া, আইসিসিরও একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ভেন্যুগুলির নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে। তারা করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যে, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকবে না এবং আন্তর্জাতিক দলগুলোকে নিরাপদ পরিবেশে খেলার সুযোগ দেয়া যাবে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সময়মতো স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার কাজ শেষ হবে এবং সব দলকে স্টেট-লেভেল সিকিওরিটি প্রদান করা হবে। তাদের কথায়, পাকিস্তানে যে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করতে গেলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা একটি প্রধান লক্ষ্য। ইতিমধ্যে, পাকিস্তানে নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার কথা রয়েছে, যেখানে তৃতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা অংশগ্রহণ করবে।
দল পরিবর্তনের শীর্ষে সবুজ-মেরুন! ২০২৪ সালের তালিকায় বাগানের এই চার ফুটবলার
এই পরিস্থিতিতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন এবং নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব আশা করছে যে, আইসিসি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিযোগিতাটি উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া, কূটনৈতিক কারণে ভারত পাকিস্তানে খেলতে অনীহা প্রকাশ করেছে, কিন্তু পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে চেয়েছে। আইসিসি এই বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে এবং তা কার্যকর করার জন্য সব দিকেই কাজ চলছে।