স্টিফেন জামানার অবসান ঘটিয়ে বর্তমানে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের দায়িত্ব। তারপর থেকেই একেবারে নতুন রূপে সেজে উঠছে গোটা দল। তাই ক্লেটন সিলভা ও নাওরেম মহেশ সিংয়ের মতো বেশকিছু ফুটবলারকে দলে রেখে গত কয়েকদিন আগে একাধিক ফুটবলারদের রিলিজ করেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের বদলে দলে এসেছেন নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে নিশু কুমার, প্রভসুখন গিল ও মন্দাররাও দেশাইয়ের মতো একগুচ্ছ ভারতীয় তারকা।
এমনকি দলের বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রেও থেকেছে চমক। গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসির হয়ে খেলা জাভিয়ের সিভেরিও থেকে শুরু করে বোরহা হেরেরার মতো খেলোয়াড়কে দলে আনার পাশাপাশি ওডিশা এফসি থেকে নেওয়া হয়েছে সাউল ক্রেসপোর মতো তারকাকে। যা নিঃসন্দেহে বড় চমক। এছাড়াও এশিয়কোটা থেকে আরো এক বিদেশি ডিফেন্ডারকে দলে চূড়ান্ত করতে চলেছে কলকাতার এই প্রধান। বর্তমানে সেই ঘোষণার অপেক্ষায় আপামর লাল-হলুদ সমর্থকরা।
তবে এসবের মাঝেই ভারতীয় দলের দুই ফুটবলারকে আজ চূড়ান্ত করেছে ইস্টবেঙ্গল। তারা অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দলের দুই তরুণ তারকা তথা ভানলালপেকা গুইতে ও গুরনাজ সিং। আসলে মাসকয়েক আগে জুনিয়র এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে স্পেন উড়ে গিয়েছিল গোটা দল। সেখানে দলের খেলা দেখে এই দুই ফুটবলারকে পছন্দ করেন লাল-হলুদ হেডকোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তারপর থেকেই দুজনকে দলে টানার পরিকল্পনা নেয় ম্যানেজমেন্ট। অবশেষে সেই ঘোষণাই হল আজ। দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে কি বলছেন এই দুই ফুটবলার?
লাল-হলুদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সেরে নয়া তারকা ভানলালপেকা গুইতে বলেন, ইস্টবেঙ্গলের মতো একটি ক্লাবের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য খুব গর্বের একটি বিষয়। আমাদের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত ও দলের সিনিয়র ফুটবলারদের থেকে যতটা সম্ভব শেখার চেষ্টা করব। সেইসাথে এই দলের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করার ও চেষ্টা থাকবে। ঠিক একই সুর শোনা যায় গুরনাজের গলায়। তিনি বলেন, আমার প্রতি বিশ্বাস রাখার পাশাপাশি এইরকম শতাব্দী প্রাচীন একটি ক্লাবের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের কোচ ও গোটা ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রচন্ড কৃতজ্ঞ। বর্তমানে ইস্টবেঙ্গল দলের জার্সি পড়ে খেলার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি।