জাতীয় গেমসে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ, ভোগান্তির শিকার বাংলার ক্রীড়াবিদরা

উত্তরাখণ্ডে চলতি জাতীয় গেমসে অংশ নিতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলার খেলোয়াড়দের। সাঁতার, রোয়িং, লন বলসহ বিভিন্ন বিভাগে প্লেয়াররা শুধু পরিবেশনার সমস্যার মধ্যেই…

উত্তরাখণ্ডে চলতি জাতীয় গেমসে অংশ নিতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলার খেলোয়াড়দের। সাঁতার, রোয়িং, লন বলসহ বিভিন্ন বিভাগে প্লেয়াররা শুধু পরিবেশনার সমস্যার মধ্যেই পড়ছেন না পাশাপাশি খাবার-দাবার সম্পর্কিত নানা বিভ্রাটও ঘটছে।

জাতীয় গেমস চলবে ২৮ জানুয়ারি-১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের গেমসে ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলিট অংশ নিচ্ছেন ৩৩টি ভিন্ন ইভেন্টে। বাংলাও বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহণ করছে। তবে গেমসে অংশগ্রহণের শুরুতেই খেলোয়াড়রা যে এত অসুবিধার সম্মুখীন হবেন তা কেউ ভাবেনি।

   

সাঁতার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে হলদওয়ানিতে। কিন্তু বাংলার মহিলা সাঁতার দল অবস্থান করছে ভীমতালে, যা পাহাড়ের উপর অবস্থিত। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে সাঁতারুদের। একদিকে পাহাড়ি রাস্তা অন্যদিকে প্রতিযোগিতা, প্লেয়ারদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন এই দীর্ঘ যাত্রার কারণে।

বাংলার ‘শেফ দ্য মিশন’ বিশ্বরূপ দে জানিয়েছেন, “প্লেয়াররা এখন কিছুটা ধাতস্থ হয়ে গেছেন। তবে এত দীর্ঘ দূরত্বের যাতায়াত প্লেয়ারদের শরীরিকভাবে নিঃশেষ করে দেয়।”

শুধু এখানেই শেষ নয়, অন্য বিভাগগুলিও সমস্যায় পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লন বলের মাঠটি একেবারে অসমান হওয়ায় খেলোয়াড়রা সুবিধা পাচ্ছেন না। রোয়িং ইভেন্টটি তেহরি লেকে হলেও সেখানে বর্তমানে জলের উচ্চতা কমে গেছে। ফলে রোয়িংয়ে অংশ নিতে গিয়ে প্লেয়ারদের এক কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করতে হচ্ছে যা অনেকের জন্য শারীরিকভাবে অত্যন্ত কষ্টকর। এই কারণে অনেক খেলোয়াড়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

একজন রোয়িং প্রতিযোগী মন্তব্য করেন, “আমরা মাঠে পৌঁছতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছি, এরপর কিভাবে খেলব?”

খাবারের ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ নেই, তবে আয়োজকদের নিয়ম অনুযায়ী প্রাতরাশ এবং রাতের খাবার হোটেলে আর মধ্যাহ্নভোজ এবং সন্ধ্যার খাবার মাঠে সরবরাহ করা হচ্ছে। সমস্যা হল, এক-একটি ইভেন্ট একেক সময়ে হয়ে থাকে। ফলে যাদের ইভেন্ট পরবর্তী সময়ে তাদেরকে মাঠে গিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে। একে অপরকে সময়মতো খাবার খেতে না পেরে খেলোয়াড়রা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

এই ধরনের বিভ্রাটে খেলোয়াড়দের জন্য গেমসে অংশগ্রহণ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মনোযোগ রাখা এবং সেরা পারফর্ম করতে আরও বেশি চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।