এএফসি লিগে প্রথম গোল, ম্যাচ জিতে কী বললেন নন্দকুমার?

চলতি মরসুমের শুরুতে একের পর এক ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা ছয়টি ম্যাচে পরাজয়ের…

Nandhakumar Nets First Goal in AFC

চলতি মরসুমের শুরুতে একের পর এক ব্যর্থতার মুখে পড়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপ থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা ছয়টি ম্যাচে পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। তবে এবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প নিয়ে মাঠে নেমে দ্বিতীয় ম্যাচে একাধিক চমক দেখিয়েছে এই কলকাতার দল। বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে জয় পেতে নন্দকুমার শেখরের (Nandhakumar)গোল দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রথম গোলের মাহাত্ম্য নিয়ে নন্দকুমারের প্রতিক্রিয়া
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে তৃতীয় কোয়ার্টারে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে নন্দকুমার তার প্রথম গোলটি করেন, যা দলের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া দলের প্রশ্নের জবাবে নন্দকুমার বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মরসুমে এটি আমার প্রথম গোল, এবং দলের জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দল জয়ের সরণিতে ফিরে আসায় আমরা সকলেই আনন্দিত। তবে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে।”

   

গত ফুটবল মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে লাল-হলুদের ডার্বি জয়ের পাশাপাশি কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই ভারতীয় উইঙ্গার। ফলে তার এই গোল লাল-হলুদ আক্রমণভাগের আত্মবিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে করছেন সমর্থকরা।

দলীয় জয়ের পিছনে আরও তারকাদের অবদান
বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে শুরুতেই গোল করেন গ্রীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকস। প্রথম মিনিটেই তার এই গোল প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। ডায়মান্টাকস টানা দুটি ম্যাচে গোল করে নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন, যা দলের আক্রমণশক্তিকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করেছে।

ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ইস্টবেঙ্গল তার খারাপ শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে এমন বড় জয় দলের মনোবলকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকরাও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।

এই ম্যাচে জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ ও খেলোয়াড়রা জানিয়েছেন, সামনের ম্যাচগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে। নন্দকুমারের গোল এবং ডায়মান্টাকসের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ইস্টবেঙ্গলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, যা দলের আত্মবিশ্বাস এবং আক্রমণভাগের শক্তিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।