এই ম্যাচ দেখার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal ) সমর্থকরা। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে পাঁচ গোল। ইন্ডিয়ান সুপার লীগে যোগ দেওয়ার পর থেকে এটাই লাল হলুদের সবথেকে বড় জয়। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নন্দকুমার শেখর (Nandakumar Sekhar)। ডার্বিতে গোল করে হেডলাইনে উঠে এসেছিল তার নাম। ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা নন্দকুমারের শক্তির উৎস তার বাবা।
সম্প্রতি আইএসএলের পক্ষ থেকে শেখরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। সেখানে অকপটে অনেক কথা বলেছেন। নিজের উত্থান, কলকাতা, ইস্টবেঙ্গল জার্সি নিয়ে কথা বলেছেন। “সংসারে অভাব সত্ত্বেও বাবা কখনও বাধা দেননি। বাবা আমার ইচ্ছেই মেনে নিয়েছিলেন। সময় পেলেই খেলার দেখতে চলে আসতেন, উৎসাহ দিতেন। বাবার এই লড়াইটাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করে।”
ডার্বির গোল শেখর হয়তো কোনো দিন ভুলতে পারবেন না। বড় ম্যাচের রোমাঞ্চের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেছেন, “ওই গোলটা করে দারুন অনুভূতি হয়েছিল। কারণ, গোলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমাদের তিন পয়েন্ট এনে দেয়। আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল সেটা। ডার্বি ম্যাচটা অসাধারণ হয়েছিল। সে দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পরিবেশ একেবারে অন্যরকম ছিল।”
কলকাতাকে কেন ভারতীয় ফুটবলের মক্কা বলা হয় সেটা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন নন্দকুমার শেখর। লাল হলুদ জার্সির চাপের কথাও উঠে এসেছে তার কথায়, “ইস্টবেঙ্গল এক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। এই ক্লাবের অঙ্গ হয়ে উঠতে পেরে আমি গর্বিত। কলকাতার এই ফুটবল সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত এবং খুব খুশিও। খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের আবেগ অনুভব করতে পারি। কারণ, সমর্থকেরা এখানে তাদের প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।”