৪ মার্চ গোটা ক্রিকেট মহলকে শোকস্তব্ধ করে না ফেরার দেশে পারি দেন অজি তারকা শেন ওয়ার্ন (shane warne)। ৫২ বছর বয়সেই ভক্তদের কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারেনি ক্রিকেট বিশ্ব। এরই মধ্যে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরলেন টম হল।
থাইল্যান্ডের কোহ সামুই রিসোর্টেই ছিলেন টম হল। যেখান থেকে শুক্রবার (৪ মার্চ) শেন ওয়ার্নকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি জানান, এদিন শেন তাঁর প্রাক্তন স্পিন বোলার বন্ধুদের সাথে দেখা করেছিলেন এবং টিভিতে অস্ট্রেলিয়া বলাম পাকিস্তানের ম্যাচ দেখছিলেন। ওয়ার্নের মৃত্যুকে ঘিরে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না। যদিও থাই পুলিশের বক্তব্য, “শেন ওয়ার্নের ঘরের মেঝে ও তোয়ালেতে রক্তের দাগ ছিল।”
হল জানিয়েছেন, “ম্যাচে কয়েকটা বল হওয়ার পরেই শেন লাফিয়ে নিজের ঘরে চলে যান এবং হাত ভর্তি জামাকাপড় নিয়ে ফায়ার আসেন। শেন গত এক বছর ধরে দ্য স্পোর্টিং নিউজে আমার সাথে কাজ করছিলেন এবং তিনি আমাকে ২০০৫ সালের এসেজ টেস্ট থেকে তাঁর জাম্পার, তাঁর ২০০৮ সালের আইপিএল শার্ট এবং একটি একদিনের আন্তর্জাতিক শার্ট ও ক্যাপ টিএসএন অফিসে রাখার জন্য উপহার দিয়েছিলেন। ওয়ার্ন তাঁর প্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের গল্প বলেছিলেন যেখানে তিনি রাজস্থান রয়্যালসকে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী শিরোপা জিতেছিলেন।” হলের কথায়, তাঁরা বেশ কিছুক্ষন গল্প করার পরে ও ছবি তোলার পরে খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন তাঁরা অস্ট্রেলিয়ান স্ন্যাক ভেজেমাইট খেয়েছিলেন।
ওয়ার্ন মৃত্যুর আগে বুকে ব্যাথা অনুভব করেছিলেন। তাঁর হাঁপানির সমস্যার পাশাপাশি হার্টের সমস্যাও ছিল। এমনটাই জানিয়েছে থাই পুলিশ। হলের কথায়, ওয়ানের সঙ্গীদের মধ্যে কেউই জানতেন না যে ওয়ার্ন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের কথা এক বন্ধুরকে তিনি জানিয়েছিলেন। ওয়ার্ন জানতেন তাঁর ওজন বেশ কিছুটা বেশি ছিল এবং তিনি তার জন্য ট্রেনিং ও করছিলেন। শেনের অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গীরা যা যা করা সম্ভব সবই করেছিলেন।
রবিবার ওয়ার্নের দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মৃত্যুতে ছিন্ন ভিন্ন পরিবার। থাই পুলিশ যদিও শেনের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে তবে এটিকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করছে না।