উৎসবের মন্তব্যে আবার ভাইরাল #RemoveATK, আন্দোলনের পথে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা

স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছর এটিকে-মোহনবাগানের নতুন জার্সিতে তিনটি স্টার থাকা এবং ক্রমাগত তাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলে উল্লেখ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। তাদের ক্রমাগত আন্দোলনের…

স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছর এটিকে-মোহনবাগানের নতুন জার্সিতে তিনটি স্টার থাকা এবং ক্রমাগত তাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলে উল্লেখ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। তাদের ক্রমাগত আন্দোলনের পরে তিন স্টার সরিয়ে নিয়েছে ক্লাব অফিসিয়ালরা। ঝামেলা বেড়েছিল আইএসএলের একটি প্রোমোশনাল ভিডিওকে ঘিরেও। ওই ভিডিওতে দেখা যায় এটিকের অন্যতম কর্ণধার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সবুজ-মেরুন জনতার বিক্ষোভে সেই ভিডিওটিও সরিয়ে নিয়েছিল আইএসএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisements

আরও পড়ুন কলকাতা লিগে নেই ইস্ট-মোহন, বাংলার ফুটবল বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ আইএফএ কর্তারা

বিজ্ঞাপন

এবার এটিকে-মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বেও পৌঁছেছে। সবই সম্ভব হয়েছে গত বছর কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে ‘মোহনবাগান’ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। কিন্তু তারমাঝেই বিতর্ক তৈরি করলেন এটিকের বোর্ড মেম্বার উৎসব পারেখ। একটি সাক্ষাৎকারে হঠাৎই বলে বসেন, ‘মোহনবাগানের নিজেদের ক্ষমতায় এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা নেই। ওদের কখনও পরিকল্পনাতেও ছিল না যে মোহনবাগান এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনাবাগন তো নিজস্ব গায়ের জোরে আজ পর্যন্ত খেলল না।  এতদিন সেই কারণেই এএফসি কাপে খেলেনি তারা। এটিকে আসাতেই সেই সুযোগ পেয়েছে তারা। ফলে মোহনবাগান সমর্থকদের এটিকে মোহনবাগানকেই সমর্থন করা উচিত। মোহনবাগান এখন অতীত।’

যদিও, ঘটনার পরেই মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকে এটিকে-মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশীষ দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু জানিয়ে দেন, সমর্থকদের আবেগকে গুরুত্ব দিতেই হবে। উৎসব পারেখের বক্তব্য অপমান করেছে মোহনবাগানের শতাব্দীপ্রাচীন আবেগকে। তারপরেই এটিকের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাবে সভ্য-সমর্থকদের কাছে। জানিয়ে দেওয়া হয়, উৎসব পারেখের বক্তব্যকে সমর্থন করেন না তাঁরা।

যদিও তাতেও কমছে না সবুজ-মেরুন সমর্থকদের রাগ। মার্জারের বিরুদ্ধে আবার টুইটারে ঝড় তোলার পরিকল্পনা করেছেন সবুজ-মেরুন জনতা। ট্রেন্ড করার চেষ্টা করা হচ্ছে #RemoveATK এবং #BreakTheMarger কে। ফলে এএফসি কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পরেও মাঠের বাইরে সমস্যা কমছে না মোহনবাগানের।