Dimitri Petratos : ‘দিমি, দিমি, দিমি…’ ফুটবলারই কেন? ব্যাখ্যা বাগান সুপারষ্টার পেত্রাতোসর

ভারতীয় ফুটবলার (Indian Footballer) না হয়েও মোহনবাগানের (Mohunbagan SG) তারকা ফুটবলার (Footballer) দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) বর্তমানে ভারতের ফুটবল অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ফুটবল…

Mohunbagan SG footballer Dimitri Petratos

ভারতীয় ফুটবলার (Indian Footballer) না হয়েও মোহনবাগানের (Mohunbagan SG) তারকা ফুটবলার (Footballer) দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) বর্তমানে ভারতের ফুটবল অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর ফুটবল জীবন ছিল পরিকল্পনাহীন, তবে একটানা নিরন্তর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আজ তিনি ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত। ফুটবলার হওয়া ছাড়া অন্য কোন লক্ষ্যই কিংবা পরিকল্পনা ছিল না বলে প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাখ্যাৎকারে জানান এই অজি ফুটবলার।

Mohunbagan SG : প্রকাশ্যে এল বড় আপডেট চেন্নাই ম্যাচে মাঠে নামছেন আশিস রাই? জানুন

   

যে কোনও অবস্থায়, যে কোনও পরিস্থিতিতে ফুটবল খেলার জন্য তিনি সর্বদা প্রস্তুত বলে জানিয়ে বলেন, “আমি ফুটবলার। যে কোনও জায়গায় খেলতে প্রস্তুত। কোচ যদি আমাকে পিছন থেকে খেলান, আমি খেলব। উইং বা মাঝমাঠে খেলতেও আমি আপত্তি করব না। আমার কাজ হল শুধুই খেলা।”

পেত্রাতোসের ফুটবল জীবনের পথচলা মোটেই সহজ ছিল না। বিভিন্ন কোচের অধীনে খেলতে গিয়ে, কখনও শুরুর একাদশে সুযোগ পাননি, আবার কখনও বদলি হিসেবে নামতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনও হতাশ হননি। তিনি জানতেন, একজন ফুটবলারের জন্য সেরা বিষয় হলো দল জিতছে, এবং দলের খেলা ভালো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এ বারও শীর্ষে আছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ”। দলের জন্য তাঁর অবদান যে কোনো দিক দিয়েই প্রশংসনীয়।

Mohammedan SC : বেঙ্গালুরু ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা জারি মহামেডান ক্লাবের!

এক সময়, বেঞ্চে বসে থাকতে হত পেত্রাতোসকে। কিন্তু তিনি জানতেন, ফুটবল খেলোয়াড়ের জীবনে এমন মুহূর্ত আসবেই। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “বেঞ্চে বসে থাকাটা মানসিকভাবে কঠিন। কিন্তু যখন খেলায় নামি, তখন আমার কাজ হলো দলটির গতির সাথে মানিয়ে নেওয়া। শুরু থেকে খেললে সেটা সহজ। তবে যখন পরে নামি, তখন আমাকে গতি এবং ছন্দের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। তাতেই কিছুটা সময় চলে যায়।”

পেত্রাতোসের জীবনে একটি নতুন দিক এসেছে। সম্প্রতি, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে, তার পুরনো লুক বদলে ফেলেন। তার কালো চুল এখন সোনালি রঙে রাঙানো, যা তার নতুন চেহারার প্রতীক। তার এই নতুন লুক নিয়ে ফুটবল সমর্থকরা এক্সাইটেড হয়ে পড়েছেন, এবং অনেকেই তাঁর সাথে সেলফি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তবে এই লুক পরিবর্তন শুধু বাহ্যিক নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তার নতুন উদ্দীপনা, যা তার খেলার মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। পেত্রাতোস বলেছিলেন, “হঠাৎ মনে হলো, চুলের রঙ বদলানো যাক, আর এই পরিবর্তন মানেই শুধু বাহ্যিক নয়, মনে মনে নতুন উদ্দীপনা এসেছে।”

বুধ থেকেই মিলছে মোহনবাগান বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচের টিকিট

ফুটবল খেলা তাকে যতটা আনন্দ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ তাকে দিয়েছে ভারতীয় সমর্থকদের ভালোবাসা। তিনি জানতেন, ভারতীয় ফুটবল সমর্থকরা কতটা প্যাশনেট এবং আবেগপ্রবণ। তাদের উচ্ছ্বাস এবং সমর্থন তাকে আরও এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। পেত্রাতোস বলেন, “সমর্থকদের কথা ভেবেই আমি ব্যারেটো সেলিব্রেশন করেছি। তারা যখন খুশি, তখন আমিও খুশি।”

দিমিত্রি পেত্রাতোস শুধু একজন ফুটবল তারকা নন, তিনি মোহনবাগান এবং ভারতের ফুটবল প্রেমীদের জন্য এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। তাঁর জীবনের পরিশ্রম, দক্ষতা, এবং নৈতিকতা তাকে এক উচ্চতর স্তরে নিয়ে গেছে। আজকের পেত্রাতোস একজন দৃষ্টান্ত, যিনি তার ফুটবল জীবনে শিখিয়েছেন কীভাবে একাগ্রতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে রাখা যায়।