চলতি ফুটবল সিজনে অনবদ্য ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। মরসুমের শুরুতে অল্পের জন্য ডুরান্ড কাপ হাতছাড়া হলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সময় যত এগিয়েছে ততই অনবদ্য পারফরম্যান্স থেকেছে এই ফুটবল ক্লাবের। একের পর এক প্রতিপক্ষ দলকে টেক্কা দিয়ে অনায়াসেই লিগ শিল্ড ঘরে তুলেছে মোহনবাগান। তবে শুধুমাত্র শিল্ড নয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালে সুনীল ছেত্রীদের শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে লিগ কাপ নিশ্চিত করেছে এই ফুটবল দল।
Also Read | ২৭ কোটির ক্রিকেটার ভুগছেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতায়?
যারফলে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন ইতিহাস। দেশের একমাত্র ফুটবল ক্লাব হিসেবে এক সিজনে টানা দুইটি ট্রফি নিশ্চিত করেছে সবুজ-মেরুন। তবে শুধুমাত্র সিনিয়র দল নয়। এই বছরে চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলে রিলায়েন্স কতৃক আয়োজিত ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগ ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছোটরা। যারফলে বাংলার প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে এই খেতাব জয় করেছে মোহনবাগান। যা নিঃসন্দেহে মন জয় করেছে সকলের। এবারের কলিঙ্গ সুপার কাপে সেই ছন্দ বজায় রাখাই অন্যতম লক্ষ্য মেরিনার্সদের। তবে এক্ষেত্রে সিনিয়র ফুটবলারদের তুলনায় দলের জুনিয়র ফুটবলারদের অধিক প্রাধান্য দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
Also Read | বাগান ক্লাবে নাটকীয় মোড়! সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা স্বপন সাধন বসুর
সেইমতো রিজার্ভ দলের কোচ বাস্তব রায়ের তত্ত্বাবধানে এই সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলছে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে বাই পাওয়ার দরুন অনায়াসেই সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল এবারের আইএসএল জয়ীরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে। একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলার দলে থাকায় জেতা যে খুব একটা সহজ হবে না অনেকেই মনে করেছিল সেটা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাপটের সহিত ফুটবল খেলে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে সবুজ-মেরুন। এবার সেমিফাইনালের লড়াই।
তবে এসবের মাঝেই উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার অমনদীপ বৃষ ভানের দিকে নাকি নজর রয়েছে উরুগুয়ের তৃতীয় ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব সিএসডি কপারের। বলাবাহুল্য, চলতি বছরের মে মাসেই মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে আমনদীপের। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার এই ভারতীয় লেফট ব্যাকের প্রতি আগ্রহ রয়েছে এই বিদেশি ক্লাবের। তবে মোহনবাগানের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আদৌও বিদেশের ক্লাবে তিনি যেতে চাইবেন কিনা এখন সেটাই দেখার বিষয়।