জেমির গোলে ডার্বি জয় বাগানের, পেনাল্টি পেল না লাল-হলুদ

বজায় থাকল ডার্বি (Kolkata Derby) জয়ের ধারা। আইএসএলের প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগে ও এবার জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পূর্বে এই ম্যাচ সল্টলেকের…

Mohun Bagan Triumphs in the Kolkata Derby

বজায় থাকল ডার্বি (Kolkata Derby) জয়ের ধারা। আইএসএলের প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগে ও এবার জয় ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পূর্বে এই ম্যাচ সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হওয়ার কথা থাকলেও উপযুক্ত নিরাপত্তার অভাবে সেটা সম্ভব হয়নি। যারফলে গুয়াহাটি স্টেডিয়ামে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সেখানেই আজ তাঁরা লড়াই করতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে ময়দানের এই প্রধান। অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনের গোলেই আসে জয়। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি আপামর বাগান জনতা।

Jamie Maclaren's Goal Puts Mohun Bagan Ahead in the Kolkata Derby

   

বলাবাহুল্য, এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন জেসন কামিন্স থেকে শুরু করে মনবীর সিংরা। জবাবে ক্রমশ রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে দেখা যায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় আচমকা গতি বাড়িয়ে দেয় মেরিনার্সরা। তারপর জেমি ম্যাকলারেনের করা গোলে এগিয়ে যায় জোসে মোলিনার ছেলেরা। পরবর্তীতে ক্রমশ প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। কিন্তু গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না তাঁদের পক্ষে। তবে সহজে হাল‌ ছাড়তে নারাজ ছিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের মতো ফুটবলাররা চাপ বাড়াচ্ছিলেন ব্যাপকভাবেই। তারপর বল নিয়ে বাগান রক্ষণভাগে হানা দিয়েছিলেন পিভি বিষ্ণু। গোল করা সম্ভব না হলেও বল সোজা গিয়ে লাগে প্রতিপক্ষের ফুটবলারের হাতে। সেখান থেকেই পেনাল্টির আবেদন জানাতে থাকেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কিন্তু সেটিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি ম্যাচ রেফারি। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে সেই একটি গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে মোহনবাগান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ থেকে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে ফেরার লক্ষ্য ছিল ডেভিড লালহানসাঙ্গাদের। কিন্তু সেটা খুব একটা সহজ ছিল না। বিশেষ করে লাল কার্ড দেখে সৌভিক চক্রবর্তী মাঠ ছাড়ার পর লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যায় মশাল ব্রিগেডের।

অপরদিকে জেসন কামিন্সের পরিবর্তে গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট মাঠে আসতেই ফের চনমনে হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন শিবির। যদিও পরবর্তীতে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মেরিনার্সরা।