সামনে ডার্বির কঠিন চ্যালেঞ্জ, লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করবেন তো মলিনা?

হাতে আর একেবারে বেশি সময় নেই। আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৮ অগস্ট কলকাতা ময়দানে মহাসংগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে। ২০২৪ ডুরান্ড ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট…

Jose Molina

হাতে আর একেবারে বেশি সময় নেই। আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৮ অগস্ট কলকাতা ময়দানে মহাসংগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে। ২০২৪ ডুরান্ড ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি (Mohun Bagan vs East Bengal)। এই ম্যাচ নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেই যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে, তা বলা যেতে পারে। ম্যাচটি কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সন্ধ্যা সাতটা থেকে আয়োজন করা হবে।

তবে এই ডার্বি ম্যাচ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলের কোচ হোসে মলিনার কাছে যে একটা অগ্নিপরীক্ষা সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। আসলে ইতিপূর্বে বাগানের যে কোচ ছিলেন, তাঁর নাম আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আজ পর্যন্ত কলকাতা ডার্বিতে একবারও হারেননি তিনি। অন্যদিকে, গত মরশুমে যখন ডুরান্ড ডার্বিতে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল, সেইসময় মোহনবাগানের কোচ ছিলেন হুয়ান ফেরান্দো। তাঁর কোচিংয়ে গ্রুপ পর্বে মেরিনার্সরা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও, ফাইনালে সেই লাল-হলুদ ব্রিগেডকে পরাস্ত করেই খেতাব জয় করেছিল। এবার মলিনার কোচিংয়ে মোহনবাগান কেমন পারফরম্য়ান্স করে, সেদিকে সকলেরই নজর রয়েছে।

   

জিতিয়েছিলেন আই লিগ, অভিমানে ছেড়েছিলেন মোহনবাগান! আজ কোথায় বেলো রাজ্জাক?

এই ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই মলিনা বলেছিলেন, ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলকে কোচিং করানো সবসময়ই অতিরিক্ত একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ এটা শুধুমাত্র একটা ফুটবল ক্লাব নয়, একটা ইনস্টিটিউশন। সেটা আমি খুব ভালো করে জানি। এটিকে-র কোচিং করাতে আমি কলকাতায় ইতিপূর্বে এসেছিলাম। এবার সম্পূর্ণ একটা ভিন্ন ক্লাবকে কোচিং করাতে এসেছি। শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয়, গোটা এটা মহাদেশে মোহনবাগান অন্যতম বড় একটি ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবের প্রচুর ইতিহাস রয়েছে। সমর্থকরা এককথায় অসাধারণ। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। দলকে সবসময় সাপোর্ট করেন। ফলে এই ক্লাবের কোচিং করানোটা আমার কাছে সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়।’

সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছিলেন, ‘আমি জানি যে মোহনবাগান সমর্থকরা সবসময় জিততে চায়। ট্রফি জিততে চায়। আমিও সেই একই লক্ষ্যে সামনের দিকে এগোতে চাই। প্রত্যেকটা ম্যাচ ধরে আমরা এগোনোর চেষ্টা করব। প্রত্যেকটা ম্যাচ হয়ত জেতা সম্ভব নয়। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আরও বেশি করে পরিশ্রম করব। ম্যাচ জিতে সকলের মুখে হাসি ফোটাব। আপাতত আমার কাছে এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।’