চিন্তিত সমর্থকরা! ডার্বি নিয়ে ধোঁয়াশা, সুবিধা পাবে ইস্টবেঙ্গল?

২০২৪-২৫ আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের কলকাতা ডার্বি (ISL Kolkata Derby) নিয়ে এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে জটিলতা। আসন্ন এই ম্যাচ নিয়ে নানা ধরনের উদ্বেগ এবং সংশয় সৃষ্টি…

ISL Kolkata Derby Mohun Bagan SG vs East Bengal FC

short-samachar

২০২৪-২৫ আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের কলকাতা ডার্বি (ISL Kolkata Derby) নিয়ে এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে জটিলতা। আসন্ন এই ম্যাচ নিয়ে নানা ধরনের উদ্বেগ এবং সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। যা ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) সমর্থকদের মনে শঙ্কার মেঘ তৈরি করেছে। কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby), মানেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে, এবার তা হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে (Security Reason)।

   

চোট এবং কার্ড সমস্যার পর নতুন করে একী রোগ ফের বাগান শিবিরে!

ম্যাচটি ১১ জানুয়ারি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার কারণে বিধাননগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে যে বিশাল জনগণের সমাগম হবে এবং তার পাশাপাশি বাবুঘাটের সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে, সেজন্য পুলিশের অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা প্রয়োজন। এই কারণে, পুলিশি নিরাপত্তার অভাবের কারণে ১১ জানুয়ারির ডার্বি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

মাইলফলক ম্যাচের আগে সমর্থক থেকে ফুটবলারদের নিয়ে আবেগপ্রবণ খালিদ জামিল

বিধাননগর পুলিশের এই অবস্থানের পর, মোহনবাগান কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, তারা এফএসডিএল-এর কাছে আবেদন করতে পারে ম্যাচটি অন্য কোনো দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয়ত, তারা চেষ্টার মাধ্যমে ডার্বি ম্যাচটি কলকাতার বাইরে অন্য কোনো রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে পারে। তবে এই দুটি সিদ্ধান্তে কিছু জটিলতা রয়েছে। কলকাতা ডার্বি, বিশেষত যুবভারতী স্টেডিয়ামের মাঠে অনুষ্ঠিত হলে যে বিশাল সমর্থক উপস্থিতি থাকে, সেটি বাইরের রাজ্যে কমে যেতে পারে। এর ফলে, মোহনবাগানকে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে, কারণ স্টেডিয়ামের ভেতরের টিকিট বিক্রির আয় এবং বিজ্ঞাপনের আয়ের পরিমাণ কমে যাবে।

এছাড়া, যুবভারতী স্টেডিয়ামে সীমিত দর্শক নিয়ে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারণ পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, মোহনবাগান কর্তৃপক্ষের জন্য সবচেয়ে সহজ পথ হবে এফএসডিএল-কে জানিয়ে ম্যাচটি পেছানোর আবেদন করা। কিন্তু, যদি ম্যাচটি অন্য রাজ্যে চলে যায়, তাহলে তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি কমবে এবং সেই অনুযায়ী মাঠের পরিবেশও প্রভাবিত হবে।

প্রথম ছয় লক্ষ্য জামিলের, বছরের শেষ ম্যাচ জিততে মরিয়া কেরালা

অন্যদিকে, ম্যাচটি যদি পিছিয়ে যায়, তাহলে ইস্টবেঙ্গলকে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। কারণ তাদের দলটি বর্তমানে কিছুটা চোটগ্রস্ত এবং নতুন বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তাই, ১১ জানুয়ারি যদি ম্যাচটি পিছিয়ে যায়, তবে ব্রুজো এবং নতুন বিদেশি খেলোয়াড়দের দলে জায়গা করে নেওয়া এবং দলের কৌশল ঠিক করার জন্য তাদের কিছুটা সময় পাবে।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া করে কী বললেন অস্কার?

মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল, দুদলই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ম্যাচ খেলবে, যার মধ্যে মোহনবাগান ২ তারিখ হায়দরাবাদের বিপক্ষে এবং ৬ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গল মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে খেলবে। এই পরিস্থিতিতে, মোহনবাগান যদি ১১ জানুয়ারি ডার্বি খেলে, সেক্ষেত্রে তাদের জন্যও কিছুটা সমস্যা হতে পারে, কারণ দলের ফিটনেস এবং কৌশল ঠিক রাখতে কিছুটা সময় কমে যাবে। ম্যাচ পিছিয়ে গেলে তবে তাঁরা বিশ্রাম পাবেই এবং পেত্রাতোস ও স্টুয়ার্টদের সুস্থ হওয়ার সুযোগও পাবে।

এখন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, শেষ পর্যন্ত কি ১১ জানুয়ারি কলকাতা ডার্বি অনুষ্ঠিত হবে, নাকি তা স্থগিত হয়ে যাবে অথবা অন্য কোনো জায়গায় স্থানান্তরিত হবে? কলকাতা ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকদের কাছে এই প্রশ্ন এখন বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।