কাজে এল না লড়াই। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ ঘরের মাঠে অর্থাৎ সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তুর্কমেনিস্তানের ফুটবল ক্লাব আহাল এফকে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল এই বিদেশি ফুটবল ক্লাব। এদিন আহালের হয়ে এদিন একটিমাত্র গোল করেন এনওয়ার আনাইউ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ কোয়ার্টারে তাঁর গোলেই জয় সুনিশ্চিত করল আহাল। ঘরের মাঠে এই পরাজয় নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা বাগান ব্রিগেডের কাছে।
বলাবাহুল্য, এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট চন মানে মেজাজে দেখা গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। প্রথম কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ দলের শক্তি ও দুর্বলতা ভালোমতো বুঝে নিতে চেয়েছিলেন হোসে মোলিনা। তারপর সময় যত এগোতে শুরু করে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল মোহনবাগান। বিশেষ করে ১৩ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে কর্নার তুলেছিলেন অজি তারকা জেসন কামিন্স। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল আহাল ডিফেন্স। তবে সুযোগ বুঝেই ফিরতি বল গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো।
যদিও সেটি প্রতিহত হয়ে গিয়েছিল খুব সহজেই। তুল্যমূল্য লড়াই চলার পর ৩২ মিনিটের মাথায় গুলের প্রায় নিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আহালের জন্য। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকেনি। গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয় সুলেমানের শট। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই আহাল রক্ষণে হানা দিয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে দুরপাল্লার শট নিয়েছিলেন কামিন্স। অল্পের জন্য উপর দিয়ে চলে যায় সেই বল। তবে প্রথমার্ধের শেষের দিকে আহাল অধিনায়কের কাছে গোলের সহজ সুযোগ এসে গেলেও দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন বাগান ডিফেন্ডার আলবার্তো রদ্রিগেজ। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ারদের শুরু থেকেই চাপ বাড়াতে তৎপর ছিল মোহনবাগান।
সেইমতো ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিলেন লিস্টন কোলাসোর মতো ফুটবলাররা। এমনকি পঞ্চম কোয়াটারের মাঝামাঝি সময় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে হানা দিয়ে গোলের সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। এছাড়াও পরবর্তীতে গোলমুখী শট নিয়েছিলেন ভারতীয় তারকা সাহাল আব্দুল সামাদ। কিন্তু অল্পের জন্যও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল সেটি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় ঘটে সেই অঘটন। আচমকাই বাগান রক্ষণে হানা দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ দলের মিডফিল্ডার। তাঁর পাস থেকেই দ্বিতীয় পোস্ট অতিক্রম করে বল গোলে ঠেলে দেন বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা ফরোয়ার্ড এনওয়ার আনাইউ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত একটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর অতিরিক্ত ছয় মিনিট সময় সংযুক্ত করা হয়েছিল ম্যাচ রেফারির তরফে। তাতেও বদলায়নি স্কোরলাইন।