HomeSports Newsতরুণদের হাত ধরেই কলকাতা লিগের স্বপ্ন দেখছে সবুজ-মেরুন শিবির

তরুণদের হাত ধরেই কলকাতা লিগের স্বপ্ন দেখছে সবুজ-মেরুন শিবির

- Advertisement -

গতবার কলকাতা লিগের (CFL 2025) সুপার সিক্সে জায়গা করে নিতে না পারা মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) দল এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে। তবে শুধু ঘরোয়া লিগ নয়, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই দল গড়েছে সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। আরএফডিএলে সাফল্য এনে দেওয়া সেই যুব দলই এবার ঘরোয়া লিগে মূল ভরসা।

সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মরসুমের প্রথম ম্যাচেই চ্যালেঞ্জ বড় পুলিশ এসি ( Police AC)। এই দলের কাছেই গতবার ২-৩ গোলে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। তবে এবারের দল একেবারেই নতুন। কোচ ডেগি কার্ডের্জজোর অধীনে মাত্র দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছে এই দল। তবু আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কোচ বলছেন, “সময়ের অভাব ছিল, ঠিকই। কিন্তু ছেলেরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জানি, ম্যাচটা কঠিন, তবুও আমরা তৈরি।”

   

গতবারের আরএফডিএল জয়ী দলের প্রায় নব্বই শতাংশ ফুটবলারকে এবার ঘরোয়া লিগে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব। এই দল থেকেই ভবিষ্যতের সিনিয়র তারকা তুলে আনার পরিকল্পনা স্পষ্ট। বয়সের কারণে আরএফডিএলে খেলার সুযোগ না থাকায় সের্তো কমদের মতো কিছু প্রতিভাবান ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাব, কিন্তু সেই জায়গা পূরণ করছে নতুন মুখদের দিয়ে।

দলের মাঝমাঠে নেতৃত্ব দেবেন সন্দীপ মালিক, যিনি তিন বছর ধরে ক্লাবের যুব সিস্টেমের অংশ। এবার তাঁর কাঁধেই অধিনায়কের দায়িত্ব। গর্বের সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, “মোহনবাগানের মতো ক্লাবের অধিনায়ক হওয়া সম্মানের। শুভাশিস বসুর নেতৃত্ব থেকে অনুপ্রেরণা নিই। দলের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।”

ঘরোয়া লিগে অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনে ম্যাচ টাইম দিতে দীপেন্দু বিশ্বাস ও সুহেলকে রেজিস্টার করেছে ক্লাব। যদিও কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়মিত খেলার থেকে তাঁদের ভূমিকা থাকবে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের ভারসাম্য বজায় রাখা।

দলে সালাউদ্দিন আদনান, লিওয়ন কাস্তানারার মতো ফুটবলার রয়েছেন যারা গতবারের লিগে ভাল পারফরম্যান্স করেছিলেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মাঠে উপস্থিতি এই তরুণ দলকে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবমিলিয়ে মোহনবাগানের এই ঘরোয়া লিগের অভিযান আসলে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। ক্লাব শুধু লিগে ভালো ফল করতে চাইছে না, বরং পরের আরএফডিএল ও ভবিষ্যতের সিনিয়র স্কোয়াডের ভিতও গড়ে তুলছে। প্রতিপক্ষ যতই কঠিন হোক, যুব দলের এই লড়াই শুধু ম্যাচ জেতার নয়—একটা দর্শন প্রতিষ্ঠার, যেখানে তরুণদের সুযোগ দেওয়া, তাঁদের গড়ে তোলা এবং একদিন সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামানোই চূড়ান্ত লক্ষ্য।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular