ডায়মন্ড হারবারকে গোলের মালা দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সবুজ-মেরুন

জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। সূচি অনুসারে শনিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতীর বুকে ডুরান্ড কাপেথ তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হোসে মোলিনার…

Mohun Bagan SG Crush Diamond Harbour FC 5-1 to Storm into Durand Cup 2025 Quarterfinals

জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। সূচি অনুসারে শনিবার সন্ধ্যায় কিশোর ভারতীর বুকে ডুরান্ড কাপেথ তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হোসে মোলিনার ছেলেরা। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল কিবু ভিকুনার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, সাহাল আব্দুল সামাদ এবং জেসন কামিন্স। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার দলের হয়ে ব্যবধান কমিয়ে দিয়েছিলেন লুকা মাজসেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে ধরা দিয়েছিল মেরিনার্সরা। যারফলে গোল তুলে নিতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয়নি ময়দানের এই প্রধানকে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের প্রায় তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জাতীয় দলের মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপা। যদিও অনায়াসেই সেই গোল শোধ করে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। মিনিট ছয়েকের মধ্যেই প্রতি আক্রমণে উঠে বাগান ডিফেন্ডার আশীষ রাইকে টেক্কা দিয়ে গোল বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লুকা মাজসেন। তারপর অনায়াসেই বিশাল কাইথকে বোকা বানিয়ে তাঁর পায়ের নিচ থেকে বল গোলে ঠেলে দেন এই বিদেশি তারকা। সমতায় ফেরার পর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী লাগছিল গিরিক খোসলাদের‌।

   

কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৯ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবার ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন জেমি ম্যাকলারেন‌। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়েছিল মোহনবাগান। তবে যেভাবেই হোক ম্যাচে ফিরতে মরিয়া কিবু ভিকুনা। তাই আক্রমণের বাড়তি নজর দিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ‌। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং ৫১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল সবুজ-মেরুন। সেখান থেকে ব্যবধান বাড়াতে একেবারেই ভুল করেননি লিস্টন কোলাসো। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ঘন ঘন আক্রমণ করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় মোহনবাগান। ৬৪ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান সাহাল আব্দুল সামাদ।

Advertisements

যারফলে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ দল। এক্ষেত্রে রক্ষণভাগে ভিড় বাড়িয়ে আক্রমণ প্রতিরোধ করাই অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠেছিল
বাংলার এই ফুটবল দলের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হয়ে মাঠে এসে গোল তুলে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি আরেক অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সের। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত চার মিনিট সংযুক্ত সময় রেফারির তরফে যুক্ত করা হলেও বদলায়নি ম্যাচের ফলাফল। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল মোহনবাগান। অন্যদিকে, আইটিবিপি বনাম বদোল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হল কিবু ভিকুনার দলকে।