দাপট বজায় রেখে ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, সহজ পেনাল্টি হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের

    ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) কলকাতার (Kolkata) দুই শীর্ষ ক্লাবের মধ্যে চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে কোনো সময়ই উত্তপ্ত হতে পারে, তা…

Mohun Bagan SG vs East Bengal FC in RFDL Group Stage Kolkata Derby

short-samachar

   

ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan SG) কলকাতার (Kolkata) দুই শীর্ষ ক্লাবের মধ্যে চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে কোনো সময়ই উত্তপ্ত হতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত হল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগের জোনাল গ্রুপ পর্বের ম্যাচে (RFDL Group Stage)। কারণ কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) ইতিহাসে মোহনবাগানের একচ্ছত্র আধিপত্য এবারও অব্যাহত। সোমবার ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে আরও এক ডার্বি জয় নিশ্চিত করেছে সবুজ-মেরুন শিবির।

সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে এই জয়টি নিশ্চিত করল বাগান ব্রিগেড। ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছেন টংসিন। তবে ইস্টবেঙ্গলও পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেই সুযোগটি হাতছাড়া করে দেন তাদের খেলোয়াড় জোসেফ জাস্টিন। লাল-হলুদ শিবিরের জন্য এটি ছিল আরও এক হতাশাজনক মুহূর্ত, কারণ এই মরশুমে ১২টি ডার্বির মধ্যে ৯টি ডার্বি ইতিমধ্যেই জিতেছে মোহনবাগান।

মোহনবাগানের জন্য ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল এবং এই ম্যাচে জয় তাদের গ্ৰুপপর্যায়ে ভালো অবস্থানে রাখতে সাহায্য করত। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন টংসিনয়ে। ৫৯ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা ক্রস সঠিকভাবে জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।

এদিকে, ইস্টবেঙ্গলও ম্যাচে ফিরতে চেয়েছিল। তবে তাদের একটি পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ ছিল, যা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। ৬৪ মিনিটে তাদের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে কিছু বিতর্ক ছিল, কারণ রাজ বাসফোরের বুকে বল লেগেছিল এবং রেফারি তাতে পেনাল্টি দেন। তবে পেনাল্টি শট নেওয়ার সময় জোসেফ জাস্টিন গোলের লক্ষ্য থেকে অনেকটা বাইরে মেরে ফেলেন। এ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে ফিরতে পারেনি।

ম্যাচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল বেশ কিছু আক্রমণ করলেও, মোহনবাগানই ছিল আধিপত্য বিস্তারকারী দল। মোহনবাগানের গোলরক্ষক প্রিয়াংশু এবং রবি বাহাদুর রানা দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ইস্টবেঙ্গল গোলপোস্টে ৬টি শট করলেও, মোহনবাগান করেছিল ২টি, তবে অধিকাংশ আক্রমণ ছিল সবুজ-মেরুনের।

এদিনেই ডার্বি মিলিয়ে এই মরশুমে মোট ১২টি ডার্বি খেলা হয়েছে, তার মধ্যে বাগান ব্রিগেড ৯টি জিতেছে এবং ইস্টবেঙ্গল শুধুমাত্র একটি ডার্বিতে জয়লাভ করতে পেরেছে। বাকি দুটি ডার্বি ড্র হয়েছিল। মোহনবাগানের এই জয় তাদের আরও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে মশাল ব্রিগেডকে এই শোডাউনেও শেষ পর্যন্ত হতাশার মুখে পড়তে হল। মোহনবাগান আবারও প্রমাণ করল যে, তারা শুধু শক্তিশালী দল নয়, তারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় আরও একবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে।