চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহেরু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG) বনাম চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) ম্যাচ যেন এক ধরনের কষ্টের ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে সবুজ-মেরুন দলের জন্য। জামশেদপুরের সঙ্গে ড্র করার পর এবার আবার চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করল তারা। যদিও মোহনবাগান শীর্ষস্থানে রয়েছ। তবুও এই ড্রয়ের সেই স্থান ধরে রাখা যে কঠিন হয়ে পড়ল, তা নিয়ে চিন্তিত সমর্থকেরা। বিশেষত, কোচ হোসে মোলিনার পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত দলের পারফরম্যান্স দেখে হতবাক সকলেই।
We come back from Chennai with +1 point 💚♥️
Watch ISL only on @JioCinema , @Sports18 -3, #StarSports3! 📺 https://t.co/qEBDVervnn#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/A4HLh9RFrm
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) January 21, 2025
চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে নামার আগে বাগান কোচ হোসে মোলিনা দলের প্রথম একাদশে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন করেন। তিনি জানিয়ে দেন, গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে সুহেল এবং অভিষেক সূর্যবংশীকেও প্রথম একাদশে স্থান দেন। যদিও জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিন্স, লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিংহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের বাইরে রেখে তিনি আশঙ্কার দিকও সৃষ্টি করেন। তবে কোচের পরিকল্পনা মাঠে সফল হয়নি।
মোহনবাগান শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছিল। স্টুয়ার্ট এবং পেত্রাতোসের মধ্যে ভালো সমন্বয় ছিল, এবং আশিস রাই ও শুভাশীষ বোস দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে পড়ছিলেন। কিন্তু চেন্নাইয়িন এমন রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেন, যেখানে বাগান খুব বেশি জায়গা পাচ্ছিল না। তাদের রক্ষণ কঠোরভাবে কাজ করছিল এবং সবুজ-মেরুন শিবিরের আক্রমণের ধারাবাহিকতা ভেঙে যাচ্ছিল। ফলে একে একে আক্রমণ করেও বাগান গোল করতে ব্যর্থ হয়।
চেন্নাইয়িন আক্রমণ করার ক্ষেত্রে নিজের প্রতি-আক্রমণের কৌশলই তুলে ধরেছিল। বিশেষত উইলমার জর্ডনের একটি সুযোগ ছিল, যেখানে একটি ক্রস থেকে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়ে শট করেছিলেন, কিন্তু তা পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। চেন্নাইয়িন দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বাড়ালেও, মোহনবাগানের রক্ষণ তা ঠেকিয়ে দেয়।
প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার পর, মোলিনা তিনটি বদল করেন। সুহেল, দীপক টাংরি এবং পেত্রাতোসকে তুলে মনবীর, লিস্টন এবং ম্যাকলারেনকে মাঠে নামানো হয়। এতে আক্রমণ কিছুটা বেড়ে যায়, এবং দুটি প্রান্ত থেকে লিস্টন এবং মনবীর ভালো খেলছিলেন। তবে গোল তখনও আসছিল না। বিশেষ করে, পেত্রাতোস একাধিক দূরপাল্লার শট নিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেগুলোও গোলের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নাইয়িন রক্ষণাত্মক কৌশল আরও বাড়িয়ে দেয়। তারা সময় নষ্ট করার পরিকল্পনা নেয় এবং পাসিং গেমের মধ্যে ঝাঁপ বন্ধ করতে থাকে। মোহনবাগান ফুটবলারেরা চাপ তৈরি করলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। সহকারী কোচ অবশ্য নিজের দলকে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলানোর মাধ্যমে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করে দেন।
চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ড্র করা মোহনবাগানের জন্য একটি বড় ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে যখন লিগের মঞ্চে তারা শীর্ষে অবস্থান করছে। কোচ মোলিনার পরিকল্পনা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে এবং সমর্থকরা আশঙ্কিত যে, যদি দলের আক্রমণাত্মক ধারাবাহিকতা বজায় না রাখা যায়. তাহলে আরও পয়েন্ট হারাতে হতে পারে। মোহনবাগানকে দ্রুত নিজেদের খেলার ধরণ ঠিক করতে হবে, যদি তারা শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে চায়।