পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার নয়া এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের ক্লাব তাঁবুতে। সেই বৈঠকের শেষে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সবুজ-মেরুনের নয়া সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং সভাপতি দেবাশিস দত্ত। সেখানেই উঠে আসে মোহনবাগান রত্নের প্রসঙ্গ। বাগান কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বছর মোহনবাগান রত্ন পেতে চলেছেন স্বপন সাধন বসু। ওরফে সবার প্রিয় টুটু বসু। সেই সাথে পরের বছর এই মোহনবাগান রত্নে সম্মানিত হতে চলেছেন অঞ্জন মিত্র। যতদূর জানা গিয়েছে, শনিবারের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মোহনবাগান রত্নের ক্ষেত্রে টুটু বসুর নাম প্রস্তাব করেছিলেন দেবাশিস দত্ত।
পরবর্তীতে সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় কমিটির সদস্যরা। তবে শুধুমাত্র এই এই সম্মান প্রদান নয়। আগামী ২৯ শে জুলাই মোহনবাগান দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয় এই মিটিংয়ে। যেখানে ঠিক হয় যে অন্যান্য বছরগুলির মত এবার ও গৌরবের সাথে মোহনবাগান দিবস পালিত হবে ক্লাবের মাঠে। পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি ক্লাবের মাঠে আয়োজিত হতে চলেছে প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। তারপর বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্বমহিমায় আয়োজিত হবে অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি। তিনি এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে সৃঞ্জয় বসুর কথায়, এখনও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে এক্সিকিউটিভ কমিটির।
আগামী ১১ ই জুলাই পরবর্তী বৈঠকের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে বাকি বিষয়গুলি। সেইসাথে টুটু বসুর মোহনবাগান রত্ন পাওয়ার প্রসঙ্গে পুত্র সৃঞ্জয় বসু বলেন, “মোহনবাগান ক্লাবের ক্ষেত্রে টুটু বসুর যা অবদান সেই অনুযায়ী এই সম্মান তাঁর প্রাপ্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে কর্ম সমিতির কাছে কৃতজ্ঞ। ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লাগছে।” হিসাব অনুযায়ী দেখলে গত ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো সবুজ-মেরুনের সচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন স্বপন সাধন বসু। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট পদে ও আসীন হন তিনি। বলতে গেলে টুটু বসুর দায়িত্ব কালে একের পর এক চমকের সাক্ষী রেখেছে আপামর বাগান জনতা।
দাপুটে বিদেশি ফুটবলারদের সই করানোর পাশাপাশি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আরপিএসজি গ্রুপের সঙ্গে বাগানের সম্পর্ক স্থাপন। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন তিনি। একইভাবে মোহনবাগানের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অঞ্জন মিত্র। উভয়ের সুসম্পর্ক ময়দানের প্রধান কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকটা দূর। এবার ক্লাবেররত্ন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই দুই ব্যক্তিত্ব। ইতিহাস বলছে গত ২০০৭ সালে এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন ধীরেন দে। ক্লাব কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এবার প্রায় ১৮ বছর পর সেই খেতাব পেতে চলেছেন স্বপন সাধন বসু।