গত কয়েক মরসুমের মতো এবারও দারুন পারফরম্যান্স থেকেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের। ফাইনালে উঠে ডুরান্ড কাপ হাতছাড়া হলেও সেই হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি মোহনবাগানের। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অনবদ্য পারফরম্যান্স করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল দলের সকল ফুটবলারদের। তবে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ময়দানের এই প্রধানের। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছে ততই নিজেদের পুরনো ছন্দে ধরা দিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। একের পর এক ম্যাচে খুব সহজেই এসেছে জয়। যারফলে একটা সময় পয়েন্ট টেবিলের কিছুটা নিচে থাকতে হলেও সেখান থেকে উপরে উঠে আসতে খুব একটা সমস্যা হয়নি।
Also Read | বাগানের ট্রফি জয়ের পর কী বললেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা?
এমনকি অন্যান্য বছর গুলির মতো এবারও হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে নাস্তানাবুদ করতে সক্ষম থেকেছে মোহনবাগান। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়েছে সবুজ-মেরুন। যারফলে অনায়াসেই টুর্নামেন্টের লিগ শিল্ড জয় করে ফেলেছিল মেরিনার্সরা। টানা দুইবার এই খেতাব জয়ের রেকর্ড চমকে দিয়েছিল সকলকে। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। শিল্ডের পাশাপাশি আইএসএল ট্রফি জিততে তৎপর ছিল দলের সকল ফুটবলাররা। সেটাই হয়েছে এবার।
Also Read | চিংলেনসানার হ্যান্ডবল! আইনের বলে পেনাল্টি মোহনবাগানকে
গত শনিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে আইএসএল ট্রফি জয় করে বাগান ব্রিগেড। এক কথায় যা ইতিহাস। এখনও পর্যন্ত ভারতের একমাত্র দল হিসেবে এক মরসুমে এই সাফল্য রয়েছে ময়দানের এই প্রধানের। বর্তমানে সেই নিয়ে খুশির আমেজ দেখা দিয়েছে সকল সমর্থকদের মধ্যে। পাশাপাশি এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছানোর কাজ আরম্ভ করে দিয়েছে সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক ফুটবলারদের নাম উঠেছে শুরু করে নানা মাধ্যমে।
সেক্ষেত্রে এবার ব্যাপকভাবে শোনা যাচ্ছে নাওরেম রোশন সিংয়ের নাম। বর্তমানে জেরার্ড জারাগোজার বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন বছর ছাব্বিশের এই ফুটবলার। হিসাব অনুযায়ী দেখলে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাবের। কিন্তু সেক্ষেত্রে নাকি ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাঁকে দলে টানতে মরিয়া মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত আদৌ তা সম্ভব হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।