হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে এবার ডার্বির (Kolkata Derby) রঙ সবুজ-মেরুন। তবে শুধুমাত্র ডার্বি নয়। এবারের এই ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ড ও চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। দীপাবলির আগে এক কথায় যা বিরাট বড় পাওনা আপামর বাগান জনতার কাছে। তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করে। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি উন্মাদনা যুক্ত করেছে সকলের মধ্যে। তবে এদিন শুরুটা খুব একটা মধুর ছিল না মোহনবাগানের কাছে। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের।
যারফলে গোল তুলে নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। ৩৫ মিনিটের মধ্যে হামিদ আহদাদের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু সেটা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধের শেষের দিকেই আপুইয়ার গোলে সমতায় ফিরেছিল মোহনবাগান। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে অনবদ্য লড়াই করেও ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষেই। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময় জুড়ে এই ফলাফল থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে শিল্ড নিশ্চিত হয়ে যায় মোহনবাগানের। মরসুমের প্রথম ট্রফি জয় নিয়ে যথেষ্ট খুশি অধিনায়ক শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা।
খেতাব জয়ের পর ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রবিনহো বলেন, ‘ আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ, এটি একদমই আমাদের জন্য অত্যন্ত ভালো, আমাদের সমর্থকদের জন্যও, এটি আমাদের ট্র্যাকে ফেরার প্রথম ধাপ ছিল। আমরা আসন্ন সুপার কাপ ও আইএসএলে একইভাবে লড়াই করে জয়ের চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।’ বাগান সমর্থকদের নয়নের মনি দিমিত্রি পেত্রাতোস বলেন, ‘আমি আগে মিস করেছিলাম। তবে মন থেকে ইতিবাচক থাকতে হবে। পেনাল্টি নেওয়ার ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট মনোযোগী থাকতে হবে।’ আপুইয়া বলেন, ‘ আমি প্রথমে নিশ্চিত ছিলাম না যে ওটা গোল ছিল কিনা। আমি দেখেছিলাম বল বাউন্স করে বাইরে এসে গিয়েছিল। যারফলে একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে লাইন্স ম্যান সংকেত দিতেই আমি নিশ্চিত হয়ে যাই।’
বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু বলেন, ‘ ডার্বি সব সময় স্পেশাল। মোহনবাগানের হয়ে এখনও পর্যন্ত অনেক গুলো ডার্বি খেলেছি। আমি সব সময় চেষ্টা করি ডার্বি জিততে। কারণ আমি কলকাতায় বড় হয়েছি। আমি জানি ডার্বি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ডার্বির দিন সকাল থেকে সবাই এক্সাইটেড থাকে। যে ডার্বি দেখব। মোহনবাগানের যত সমর্থক আছে সবাই খুশি যে আমরা ডার্বি জিতেছি। এছাড়াও এটা আমার প্রথম আইএফএ শিল্ড। প্রথমবার খেললাম এবং প্রথমবার ই আমি জিতলাম। আমার একটা আক্ষেপ ছিল যে আমি কখনও আইএফএ শিল্ড খেলতে পারিনি। মোহনবাগান যেটার জন্য মোহনবাগান হয়েছে। এই আইএফএ শিল্ডের জন্য। আইএফএ শিল্ড আমার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে আমার মনে সারাজীবন। আমি চাইব সকল সমর্থকরা এই জয়টা ভালোভাবে আনন্দ করুক। সকলেই ভালোভাবে কালী পুজো কাটাক।’