সন্তোষ জয়ীদের সম্বর্ধিত করল মোহনবাগান, দেওয়া হল আর্থিক পুরস্কার

অনবদ্য পারফরম্যান্স করে এবার সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার ফুটবল দল। বিগত কয়েকটি মরসুমে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও এবারের এই টুর্নামেন্টের…

Santosh Trophy Champions bengal team

অনবদ্য পারফরম্যান্স করে এবার সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার ফুটবল দল। বিগত কয়েকটি মরসুমে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও এবারের এই টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে সঞ্জয় সেনের উপরেই ভরসা রেখেছিল সকলে। তাঁর দায়িত্ব গ্ৰহনের পর থেকেই ভোল পাল্টাতে শুরু করে এই ফুটবল দলের। বিশেষ করে এই সন্তোষ ট্রফির মতো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ থেকেই দারুন ছন্দে ধরা দেন রবি হাঁসদা থেকে শুরু করে চাকু মান্ডি, ও আবু সুফিয়ানের মতো ফুটবলাররা। যারফলে অনায়াসেই গ্ৰুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে চলে যায় বাংলার ছেলেরা।

তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল দলকে পরাজিত করে অনায়াসেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে আসে সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। গত ডিসেম্বরের শেষদিনে নিজামের শহরের বুকে সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল খেলতে নেমেছিল বাংলা দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি গোলের ব্যবধানে কেরালা দলকে পরাজিত করে খেতাব ছিনিয়ে নেয় সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমী জনতা। বাংলা দলের এমন সাফল্যের দরুন পরবর্তীতে তাঁদের সম্বর্ধিত করতে থাকে একাধিক ফুটবল ক্লাব। খুব একটা পিছিয়ে থাকেনি ময়দানের দুই প্রধান।

   

ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পর শনিবার সন্ধ্যায় সন্তোষ জয়ীদের সম্বর্ধিত করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন ক্লাব তাঁবুতেই উত্তরীয় পরিয়া সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় দলের সকল ফুটবলার সহ কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফেদের। তবে সেখানেই শেষ নয়। এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের দরুন গোটা দলকে ৫.৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরষ্কার ও প্রদান করা হয় সবুজ-মেরুনের তরফে। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছে বাগান জনতাকে। এছাড়াও, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এদিন বিকেলে স্থির হয়েছিল এজিএমের দিনক্ষণ।

সেখানে মূলত ক্লাবের নির্বাচনের পাশাপাশি ফুটবল স্কুল চালু করার মত একাধিক দাবি প্রস্তাব উঠে আসে সদস্য সমর্থকদের তরফে। এক্ষেত্রে সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করেই হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে ময়দানের এই প্রধান দল।