ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের আগে ধাক্কা, চোটের কবলে বাগানের এই ফুটবলার

এবারের ডুরান্ড কাপে ব্যাক টু ব্যাক দুইটি ম্যাচে জয় পেয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করার…

Mohun Bagan Hit by Injury Blow: Lalnunmawia Ralte Doubtful for Crucial Durand Cup 2025 Clash Against Diamond Harbour

এবারের ডুরান্ড কাপে ব্যাক টু ব্যাক দুইটি ম্যাচে জয় পেয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করার পর এবার তৃতীয় ম্যাচে ডায়মন্ড হারবার এফসির বিপক্ষে ও জয় সুনিশ্চিত করতে মরিয়া জোসে মোলিনা। তবে কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন বাগান কোচ। সেইমতো রিকভারি সেশনের পর আসন্ন ম্যাচের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে শুরু করে দিয়েছেন মোলিনা। হাতে রয়েছে মাত্র তিনটে দিন তারপরেই আগামী ৯ই আগস্ট সন্ধ্যায় কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবারের বিপক্ষে খেলতে নামবে মোহনবাগান।

তবে এসবের মাঝেই চিন্তা বাড়ল সবুজ-মেরুনের। এবার অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পেলেন বাগানের অন্যতম ভরসাযোগ্য মিডফিল্ডার লালেংমাউইয়া রাল্টে। ওরফে আপুইয়া। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মঙ্গলবার দলের অনুশীলনে চোট পান জাতীয় দলের এই তারকা ফুটবলার। পরবর্তীতে দলের সাপোর্টিং স্টাফেদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় আপুইয়াকে। জানা গিয়েছে, সতীর্থ ফুটবলার গ্লেন মার্টিন্সের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরেই দেখা দিয়েছে এই সমস্যা। তবে চোটের গভীরতা এখন ও স্পষ্ট নয়। যারফলে আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আদৌও তাঁকে মাঠে দেখা যাবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু আপুইয়ার চোট কিছুটা হলেও চাপে রাখবে গত‌বারের আইএসএল জয়ীদের।‌

   

উল্লেখ্য, গত ৩১ শে জুলাই ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সাদা-কালো ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন আপুইয়া। যারফলে তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি। সেজন্য, গত সোমবার বিএসএফ ম্যাচে এই ভারতীয় মিডফিল্ডারকে মাঠে পায়নি মোহনবাগান। তবে এবার ডায়মন্ড হারবারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাঁকে সম্পূর্ণ ফিট করে তোলাই প্রধান লক্ষ্য দলের চিকিৎসকদের। শেষ সিজনে মাঝমাঠ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন বছর চব্বিশের এই মিজো ফুটবলার।

Advertisements

দলের জার্সিতে খেলেছিলেন সব মিলিয়ে প্রায় ২৭ টি ম্যাচ। যার মধ্যে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালে জামশেদপুর এফসিকে হারানোর ক্ষেত্রে তাঁর পা থেকেই এসেছিল গোল। মাঝমাঠ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত সময় দলের হয়ে গোল তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই ফুটবলারের। এই নয়া মরসুমে ও তাঁর থেকে প্রত্যাশা থাকবে সকল সমর্থকদের।