Kolkata Derby: ডার্বি হারের ধাক্কা, শেষ থেকে লিগের তিন নম্বরে মোহনবাগান

Mohun-Bagan-Set-to-Begin-Full-Team-Practice

কাজে এল না সুহেলের গোল। মরসুমের প্রথম ডার্বিতে ( Kolkata Derby) জয় ছিনিয়ে নিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। লাল-হলুদ জার্সিতে আজ গোল করেন যথাক্রমে পিভি বিষ্ণু এবং জেসিন টিকে। অপরদিকে সবুজ-মেরুনের হয়ে ব্যবধান কমান সুহেল আহমেদ ভাট। গত দুই ম্যাচের মত এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে ও একেবারে তথৈবচ অবস্থা থেকেছে ডেগি কার্ডোজোর ছেলেদের। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণে জেরবার হতে হয়েছে মেরিনার্সদের।

Advertisements

আমন সিকে থেকে শুরু করে ডেভিড লালহানসাঙ্গা ও নাসিবদের ঘন ঘন হানা দেওয়ায় কাল ঘাম ছুটেছে দীপেন্দুদের। তবে বাগান গোলরক্ষকের দক্ষতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধে একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। যারফলে গোলশূন্য ফলাফল নিয়ে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়াতে থাকে মনোতোষ চাকলাদার’রা। বিশেষ করে সায়ন ব্যানার্জির মাঠে নামায় যেন বাড়তি অক্সিজেন পায় লাল-হলুদের আক্রমণভাগ।

সুযোগ মতো প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে মোহনবাগান। বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার শট ইস্টবেঙ্গলের গোলের দিকে ভেসে আসলেও কাজের কাজ হয়নি। ম্যাচের ঠিক ৫১ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে ভাসানো বল রিসিভ করে বাগান রক্ষণে ঢুকে পড়েন পিভি বিষ্ণু। সেখান থেকেই আসে প্রথম গোল। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে প্রতিআক্রমণে চাপ বাড়িয়েছে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। কিন্তু সার্থক গোলুইদের জমাট বাঁধানো রক্ষণে আটকে যেতে হয়েছে বারংবার। তারপরেই হীরা মন্ডলের থ্রো থেকে গোলের সুযোগ চলে আসে বিষ্ণুর কাছে যদি তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।

তারপর ৬৫ মিনিটের মাথায় রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ভুল বোঝাবুঝির মাসুল গুনতে হয় মোহনবাগানকে। সৌরভ ভানওয়ালার উদ্দেশ্যে রাজা বর্মনের বাড়ানো বল লক্ষ্য করে এগিয়ে আসেন আমন সিকে। সেই বল নিয়ে বাগানের গোল বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, পরবর্তীতে সেখান থেকেই দুরন্ত গোল জেসিন টিকের। যারফলে, অনেকটাই ব্যাক ফুটে চলে যায় সবুজ-মেরুন শিবির। অতিরিক্ত সময় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে বল গোলে ঠেলে যান সুহেল ভাট। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisements

আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি বাগান ব্রিগেডের। এক গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গল। সেই সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে এই প্রধান। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের এগারো নম্বরে নেমে যায় সবুজ-মেরুন।