হায়দরাবাদের ‘আলুর দোষ’! বুঝিয়ে দিল মোহনবাগান

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল হায়দরাবাদ এফসি। সেই ম্যাচের আগেই সবুজ-মেরুন…

short-samachar

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল হায়দরাবাদ এফসি। সেই ম্যাচের আগেই সবুজ-মেরুন গ্যালারি থেকে ছাড়া হয়েছিল এক অভিনব টিফো। যেখানে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ‘গল্প হলেও সত্যি’- র ‘ধনঞ্জয়’ চরিত্রটিকে। যেখানে হায়দরাবাদী বিরিয়ানিতে বানাতে দেখা যায় সেই চরিত্রটিকে। কিন্তু আলু ছাড়া বিরিয়ানি আদৌও কি বাঙালির মুখে রুচবে? সেই নিয়ে রয়েছে বহু বিতর্ক। কিন্তু বিরিয়ানির আলুর প্রতি যে আলাদাই ইমোশন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

   

Mohun Bagan Dominates Hyderabad FC

হয়তো আজ সেটাই প্রমাণ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে নিজামের শহরের এই দলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করল ময়দানের এই প্রধান। এদিন সবুজ-মেরুন জার্সিতে গোল পান যথাক্রমে টম অলড্রেড এবং জেসন কামিন্স। পাশাপাশি ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে একটি আত্মঘাতী গোল করে বসেন স্টেফান সাপিচ। এই জয়ের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও কিছুটা মজবুত করে ফেলল মোহনবাগান। বছরের শুরুতেই দলের এমন সাফল্যে যথেষ্ট খুশি আপামর বাগান জনতা। বলাবাহুল্য এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে দেখা গিয়েছিল জোসে মোলিনার ছেলেদের।

অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন থেকে শুরু করে লিস্টন কোলাসো হোক কিংবা সাহাল আব্দুল সামাদ। সুযোগ বুঝেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছেন সকলেই। তা সামাল দিতে কার্যত কালঘাম ছোটার পরিস্থিতি তৈরি হয় অ্যালেক্স সাজি থেকে শুরু করে আব্দুল রবিদের। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় তেমনই এক আক্রমণ থেকে গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল মেরিনার্সদের। তবে সেই সময় হায়দরাবাদ গোলরক্ষক আর্শদীপ সিং পরিস্থিতি সামাল দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেপিচের গায়ে লেগে বল চলে যায় গোলের মধ্যে। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল বাগান ফুটবলারদের।

পরবর্তীতে এডমিলসন কোরিয়ার পাশাপাশি সাই গডার্ডরা প্রতি আক্রমণে উঠে আসলেও শুভাশিস বসুদের দক্ষ ডিফেন্সে আটকে যেতে হয় বারংবার। তারপর ম্যাচের ৪১ মিনিটের মাথায় হেড দিয়ে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে যান বাগানের তারকা ডিফেন্ডার টম অলড্রেড। প্রথমার্ধের শেষে দুইটি গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে হায়দরাবাদ এফসির চাপ বাড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও কাজের কাজ হয়নি। বরং চতুর্থ কোয়ার্টারে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে যান অজি তারকা জেসন কামিন্স। তারপর আর সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি হায়দরাবাদ এফসি। বরং চাপ বাড়িয়ে আরও গোল তুলে নিতে তৎপর হয়ে ওঠে বাগান ব্রিগেড।

লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে সাহাল আব্দুল সামাদ। গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন একাধিকবার। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। নাহলে আরও বড় ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করতে পারত সবুজ-মেরুন শিবির।