কিছু ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরেই কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনাল খেলতে নামবে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সবদিক মাথায় রেখেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান বাগান কোচ বাস্তব রায়। উল্লেখ্য, এবারের এই সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেদের সিনিয়র দল খেলানোকেই প্রাধান্য দিয়েছে অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব। আসলে ট্রফি জিতেই সিজন শেষ করতে বদ্ধপরিকর সকলে।
Also Read | দলের ছয় বিদেশিকে বিদায় জানাচ্ছে পাঞ্জাব, আগ্ৰহ দেখাবে ইস্টবেঙ্গল?
তবে এইদিক থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন পথ অবলম্বন করে সকলকে চমকে দিয়েছে মোহনবাগান। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও দারুন ছন্দে রয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। টানা দুইবার লিগ শিল্ড জয়ের পাশাপাশি এবার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে লিগ কাপ ও ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে সবুজ-মেরুন। যারফলে ভারতবর্ষের বুকে প্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড রয়েছে বাগান ব্রিগেডের। কিন্তু কলিঙ্গ সুপার কাপে সিনিয়র ফুটবলারদের তুলনায় দলের জুনিয়র ফুটবলারদের খেলানোর দিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
Also Read | এআইএফএফ রদবদলে ক্রীড়া কোড মানার পরামর্শ কেন্দ্রের
তাই দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ দলের কোচ বাস্তব রায়ের হাতে। প্রথম ম্যাচে বাই পেয়ে এবারের সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তারপর অনায়াসেই শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সকে পরাজিত করে মেরিনার্সরা। প্রতিপক্ষ দলে একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলার দলে থাকলেও বাগানের বিরুদ্ধে সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত অতি সহজেই দক্ষিণের এই দলের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নেয় মোহনবাগান। সেমিফাইনাল ম্যাচে ও সেই অনবদ্য ফুটবল খেলতে মরিয়া সকলে। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না বাস্তব রায়।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন, “কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের মতই আমি সেমিফাইনাল ম্যাচে ও ফুটবলারদের এই ম্যাচটি উপভোগ করতে বলেছি। আমার দলের প্রতিটি ফুটবলার এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। কীভাবে আমরা পরিকল্পনা করছি তা আমি এখানে কিছু বলতে চাই না।তবে গোয়া অবশ্যই কেরালার থেকে বেশি শক্তিশালী। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যারফলে আমাদের কাজ খুব একটা সহজ হবেনা। বিকেল ৪টে বেজে ৩০ মিনিটে আমাদের ম্যাচ শুরু হচ্ছে। আশা করি সমস্যা হবেনা।”