শেষ কিছু বছর ধরে ক্লাব ফুটবলে অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স করে আসছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। তৎকালীন কোচ হুয়ান ফেরেন্দো থেকে শুরু করে আন্তোনিও লোপেজ হাবাস হোক কিংবা জোসে মোলিনা। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দলের কোচ বদল হলেও একই থেকে গিয়েছে সেই সাফল্যের ধারা। আইএসএল লিগ কাপ হোক কিংবা লিগ শিল্ড। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সাফল্যের চরম পর্যায়ে উঠে এসেছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। এবার ও তার পরিবর্তন হয়নি। শেষ মরসুমে একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবকে পরাজিত করে লিগ শিল্ডের পাশাপাশি অনায়াসেই লিগ কাপ ঘরে তুলেছে মোহনবাগান।
সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। তবে শুধুমাত্র মাঠেই নয়। এবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় ও পাশ করে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যারফলে নয়া সিজনে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ে খেলতে বাঁধা থাকল না মেরিনার্সদের। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সমর্থকরা। তবে শুধুমাত্র মোহনবাগান নয়। লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছে কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। এবারের এই ফুটবল সিজনে তাঁদের খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও এখন থেকেই নয়া সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

একের পর এক দাপুটে ফুটবলারদের দলে টানার ক্ষেত্রে দল বদলের বাজারে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে তাঁদের নাম। এছাড়াও লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছে পাঞ্জাব এফসি থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বাই সিটি এফসি, জামশেদপুর এফসি, এফসি গোয়া এবং চেন্নাইয়িন এফসির মত ফুটবল ক্লাব। তবে এক্ষেত্রে ও আটকে যেতে হল কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছে সাদা-কালো সমর্থকদের। তবে তাঁরা একা নয়।
লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় ধাক্কা খেতে হয়েছে ডুরান্ড কাপ জয়ী নর্থইস্ট ইউনাইটেড থেকে শুরু করে হায়দরাবাদ এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি সহ ওডিশা এফসির মত ফুটবল ক্লাব গুলিকে। এছাড়াও আইলিগের দল গুলির মধ্যে এই তালিকায় রয়েছে বারাণসীর ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব।