দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে কী বললেন সাদা-কালো কর্তা?

অনবদ্য ফুটবল খেলে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। প্রথম ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে পরাজিত হতে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই তাঁরা আটকে দেয়…

A tense and dramatic scene at a football stadium, with Mohammedan SC players

অনবদ্য ফুটবল খেলে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। প্রথম ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে পরাজিত হতে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই তাঁরা আটকে দেয় শক্তিশালী এফসি গোয়াকে। সাদা-কালো ব্রিগেডের পারফরম্যান্স তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। তারপর তৃতীয় ম্যাচেই চলে আসে বহু প্রতীক্ষিত জয়। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল মহামেডান সমর্থকদের। কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ছন্দপতন ঘটে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। টানা সাতটি ম্যাচে জয়হীন রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাব।

গত শনিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সেদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল পেট্র ক্র্যাটকির ছেলেদের। জবাবে কিছুটা ডিফেন্সিভ খেলতে দেখা যায় সাদা-কালো ব্রিগেডকে। তারপর প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সম। জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মহম্মদ ইরশাদ মাঠ ছাড়তেই চাপে পড়ে যায় দল। সুযোগ বুঝে প্রথমার্ধের শেষ দিকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে হানা দিয়েছিলেন রেমসাঙ্গা কিন্তু মুম্বাই গোলরক্ষকের দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসে পরিস্থিতি।

   

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বিক্রম প্রতাপ সিংয়ের করা গোলে এগিয়ে যায় মুম্বাই সিটি এফসি। শেষ পর্যন্ত এই একটি গোলের ব্যবধানেই জয় সুনিশ্চিত করে গতবারের আইএসএল জয়ীরা। এই জয়ের সুবাদে অনায়াসেই পয়েন্ট টেবিলের বেশ কিছুটা উপরে উঠে আসে মুম্বাই সিটি এফসি। অপরদিকে টানা পরাজয়ের দরুণ প্রবল হতাশা দেখা দেয় সাদা-কালো সমর্থকদের মধ্যে। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর সময় সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে ও পড়তে দেখা যায় সাদা-কালো ফুটবলারদের পাশাপাশি ক্লাব কর্তাদের।

ম্যাচ শেষে দলের এমন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন মহামেডান কর্তা মহম্মদ কামরুদ্দিন। সংবাদ মাধ্যমের তরফে কোচের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দশজন মিলে যা ফুটবল খেলেছে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে। এগুলো নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই। সমর্থকরা কোচকে গো ব্যাক বলবে আমাকে গো ব্যাক বলবে শ্রাচীকে নিয়ে ক্ষোভ দেখাবে। কিন্তু এগুলো কোনও কথা নয়। আমাদের খেলোয়াড় নেই, ফুটবলারদের ইনজুরি কেউ বুঝতে পারছে না। দলের অর্ধেক ফুটবলারের ইনজুরি রয়েছে‌। এক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে। তাঁর মধ্যে কিছু রেফারি রয়েছেন কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের ফুটবলারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড না দেখালেও হত।”

আরও বলেন, ” আইএসএলে আমাদের প্রথম বছর। আশা করি দ্বিতীয় বছর থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমাদের এখন যেখানে যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেগুলি খুঁজে বের করে আমরা আসন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে খেলোয়াড় আনার কাজ শুরু করে দিয়েছি।”