ভারতীয় ক্রিকেটে আরেকটি বড় ধাক্কার সম্ভাবনা। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির পর এবার প্রবীণ পেসার মোহাম্মদ শামির (Mohammed Shami) টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। খবর অনুযায়ী, ফিটনেস সমস্যার কারণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শামিকে দল থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপে অ্যাকিলিস টেন্ডন ইনজুরির পর থেকে শামি তার পুরনো ফর্মে ফিরতে পারেননি, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিসিসিআই সূত্র জানায়, “শামি এখন আর দলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জায়গা পাওয়ার জায়গায় নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসেও তিনি ছন্দ ফিরে পাননি। আইপিএল পারফরম্যান্স টেস্ট দল নির্বাচনে বিবেচিত না হলেও, শামির বোলিংয়ে সমস্যা স্পষ্ট। তার রান-আপে ধারাবাহিকতার অভাব, বল উইকেটকিপার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সংক্ষিপ্ত স্পেলের পর তাকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হচ্ছে বিশ্রাম নিতে।” ২০২৪ সালে পুরোটা সময় মাঠের বাইরে কাটানো শামি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং চলমান আইপিএলে খেললেও, টেস্টের মতো দীর্ঘ ফরম্যাটে তার ধারাবাহিকতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নির্বাচকরা একই সঙ্গে জসপ্রীত বুমরাহর কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে পিঠের চোট থেকে সেরে ওঠা বুমরাহর উপর অতিরিক্ত চাপ এড়াতে চান তারা। পরিকল্পনা ছিল শামি এবং বুমরাহর মধ্যে একজনকে প্রতি টেস্টে খেলানো। কিন্তু শামির ফিটনেস সংকট এবং বুমরাহর বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা নির্বাচকদের জটিলতায় ফেলেছে। সূত্র জানায়, “বুমরাহ যদি একটি টেস্টে বিশ্রাম নেন এবং শামি সেই ম্যাচে নিজেকে টেনে নিতে না পারেন, তবে দলের জন্য এটি বড় সমস্যা। শামির সমস্যা বোঝার চেষ্টা চলছে।”
শামির এই ফিটনেস সংকট এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসর ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। শামির অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা টেস্টে ভারতের পেস আক্রমণের মূল শক্তি ছিল। কিন্তু তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা দলের পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। নির্বাচকরা এখন তরুণ পেসারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন। যারা টেস্ট ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারেন। শামি কি তার ফিটনেস ফিরে পাবেন, নাকি টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন, তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।