সব ধরনের প্রস্তুতি এবং জল্পনার পর মহাম্মদ শামিকে (Mohammad Shami) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কলকাতায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাওয়া যায়নি । তার পরিবর্তে অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh) ছিলেন ভারতের একমাত্র পেস বোলিং অপশন। সঙ্গে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও নিতিস রেডি সাপোর্ট হিসেবে এবং স্পিন বিভাগে তিনজন বোলার।
ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায়। গ্রিন পিচ শুরুতে বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়তা ছিল। ভারত ইংল্যান্ডকে ১৩২ রানে অল আউট করে। পরে পিচ সহজ হয়ে উঠলে প্রায় ৭ ওভার হাতে রেখে লক্ষ্য জয় করে নেয়। এই টস জয় ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বোলিং আক্রমণ অর্শদীপ সিংয়ের নেতৃত্বে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করেছে। সহায়ক হিসাবে পাশে ছিল বরুণ চক্রবর্তী।
অর্শদীপ সিং স্পিনার হিসাবে নিজেকে প্রনাম করেছে।
অন্যদিকে জস বাটলার এবং তার সহকর্মীদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। বাটলারই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ৪৪ বলে ৬৮ রান করে ইংল্যান্ড-এর হয়ে সর্বচ্চ রান করেন।
অর্শদীপ ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হলেও এটি বিস্ময়ের বিষয় ছিল যে শামি প্রথম ম্যাচে ছিলেন না। যদিও সিরিজ শুরুর আগে তাঁর ফিরে আসার ব্যাপারে প্রচুর আলোচনা হয়। অনেকেরই মনে হয় শামি পুরোপুরি ফিট নন। তবে অর্শদীপ সেই জল্পনাগুলো উড়িয়ে দিয়ে বললেন যে শামি আগামী ম্যাচগুলোতে দলে থাকতে পারেন।
তিনি বলেন,”গতকাল আমি শামি ভাইয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছিলাম কারণ যখন তিনি বোলিং করছিলেন, বলটি যেভাবে তাঁর হাত থেকে বের হচ্ছিল তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। প্রতিটি বলেই আপনি বলতেন, ওয়াও, কিভাবে এমন দারুণ বল কেউ একজনের হাত থেকে বের হতে পারে!'”
তিনি আরও বলেন,”আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন, আপনি সেই বোলিং দেখতে পাবেন এবং খুব আনন্দিত হবেন। যেভাবে বল তাঁর হাত থেকে বের হচ্ছে তাতে মনে হবে যেন ২২ বছরের শামি ভাই আবার বোলিং করছেন।”
শামির অনুপস্থিতি সম্পর্কে ম্যাচ পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে ভারতের ব্যাটিং তারকা অভিষেক শর্মা বলেন, “আমার মনে হয় এটা দলের ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল এবং তারা মনে করেছে এই পরিস্থিতির জন্য এটি ভাল অপশন।”