Mayank Agarwal: জলের সঙ্গে মেশানো ছিল বিষ! মায়াঙ্কের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর বাঁক

ভারতীয় ক্রিকেটার মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে (Mayank Agarwal) নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। আচমকাই বিমান থেকে নামিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় টিম ইন্ডিয়ার…

Mayank Agarwal, illness, sensational twist, poison, water

ভারতীয় ক্রিকেটার মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে (Mayank Agarwal) নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। আচমকাই বিমান থেকে নামিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় টিম ইন্ডিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে।

ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার পরে মায়াঙ্ক তার কর্ণাটক দলের সাথে আগরতলা থেকে সুরাট যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি সেখানে সিটে রাখা জল পান করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার এই বিষয়ে বড়সড় খোলসা করল ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থা।

ক্রিকেটারের সংকটাপন্ন অবস্থা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল আসনে পৌঁছানো মাত্রই সেখানে রাখা বোতল থেকে জল পান করলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তার মুখ জ্বলতে শুরু করে। তার গলায়ও সমস্যা হয়। এরপরই প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, যে জল পান করেছিলেন, তাতে সম্ভবত কোনও বিষাক্ত পদার্থ ছিল। এরপরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তী। তিনি আরও জানান, ক্রিকেটারের পুরো মুখ ফুলে গিয়েছিল এবং তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ফোন আসে যে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি তার সিটে রাখা বোতল থেকে জল পান করেছিলেন এবং এর পরে তার মুখ জ্বলতে শুরু করে এবং তার গলায় সমস্যা হয়েছিল। সম্ভবত জল অ্যাসিডিক ছিল, তারপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বিপদমুক্ত হলেও তার মুখ ফুলেছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন না।’ বুধবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।

Advertisements

চলতি রঞ্জি ট্রফির পরের ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। চার ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরিও করেছেন। এখন সচিব একে এসিডিক জল বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং জল্পনা রয়েছে যে জলের সঙ্গে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই ৫১৭৭-এ বসেছিলেন মায়াঙ্ক। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের পরই সত্যতা কী তা জানা যাবে। ফ্লাইটে উপস্থিত অন্য কোনো সদস্যের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।