ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসনের মুখে তারকা ক্রিকেটার

বাংলাদেশ ক্রিকেটে (Bangladesh Cricket) ফের এক চাঞ্চল্যকর ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (Dhaka Premier League) পরিচিত মুখ মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরকে (Minhajul Abedin Sabbir) ঘিরে উঠেছে…

Minhajul Abedin Sabbir banned for Match Fixing in Dhaka Premier League accused for Spot Fixing

বাংলাদেশ ক্রিকেটে (Bangladesh Cricket) ফের এক চাঞ্চল্যকর ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (Dhaka Premier League) পরিচিত মুখ মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরকে (Minhajul Abedin Sabbir) ঘিরে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। ম্যাচ গড়াপেটার (Match Fixing) অভিযোগে তাকে অন্তত পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (BCB) অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু)। তদন্তে প্রমাণ মিললে এই নিষেধাজ্ঞা বাড়তে পারে আট থেকে দশ বছর পর্যন্তও।

কীভাবে শুরু হল বিতর্ক?

   

ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২৪ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব (Shinepukur Cricket Club) বনাম গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের (Gulshan Cricket Club) একটি ম্যাচ থেকে। ওই ম্যাচে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার, মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির ও রাহিম আহমেদ, রহস্যজনক ভঙ্গিতে আউট হন। মাঠে থাকা দর্শক ও ধারাভাষ্যকারদের চোখে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ। সেখান থেকেই শুরু হয় সন্দেহের বীজ।

তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু) তদন্ত শুরু করে এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, ডিপিএল চলাকালীন সময়ে সাব্বির এক সন্দেহজনক বিদেশি নম্বরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নম্বরটি কোনও আন্তর্জাতিক বুকমেকার চক্রের সদস্যের। বিসিবি’র তদন্তকারীরা বিষয়টি এতটাই গুরুতর বলে মনে করছেন যে, প্রয়োজনে আইসিসি’র গ্লোবাল আকু এবং এমনকি ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।

দুর্নীতি দমন কোডের একাধিক ধারা ভঙ্গ

Advertisements

আকুর তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাব্বির বিসিবির দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত একাধিক ধারা লঙ্ঘন করেছেন। প্রথমত, তিনি সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। দ্বিতীয়ত, বিষয়টি বিসিবিকে গোপন করেছেন। এই দুই অপরাধের জন্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

মাত্র ২৭ বছর বয়সি মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি ম্যাচ, ২৫টি লিস্ট ‘এ’ এবং দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার কার্যত শেষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এর আগে সবচেয়ে বড় ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ঘটনা, যাকে ২০১৩ সালে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল (পরে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়)। সাব্বিরের ঘটনাও একই মাত্রার এবং বিসিবি সূত্রের দাবি, যেহেতু এটি ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে, তাই শাস্তিও হওয়া উচিত কঠোরতম।

বর্তমানে মামলাটি বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে প্রাপ্ত প্রমাণাদি যাচাই করে শিগগিরই চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সাব্বিরের বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকার করে তুলবে।

Minhajul Abedin Sabbir banned for Match Fixing in Dhaka Premier League accused for Spot Fixing