অপেক্ষার অবসান, রবির রাতেই শহরে মিগুয়েল

গত সিজনের মাঝামাঝি সময় থেকেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের দায়িত্ব পালন করছেন অস্কার ব্রুজন‌‌‌ (Oscar Bruzon)। এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই সাময়িকভাবে নিজেদের ছন্দে ফিরেছিল…

Brazilian Midfielder Miguel Figueira Set to Join East Bengal FC

গত সিজনের মাঝামাঝি সময় থেকেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের দায়িত্ব পালন করছেন অস্কার ব্রুজন‌‌‌ (Oscar Bruzon)। এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই সাময়িকভাবে নিজেদের ছন্দে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের গ্ৰুপ পর্বে ভালো ফল করার পর আইএসএলে ও জয়ের স্বাদ পেয়েছিল এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু চোট আঘাতের সমস্যা ফের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দলকে। যারফলে একটা সময় সুপার সিক্সে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখার দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশেষ করে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করার পরেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু তবুও কলিঙ্গ সুপার কাপ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল লাল-হলুদ জনতা।

   

কিন্তু সেখানেও মিলেছিল একরাশ হতাশা। ছিটকে যেতে হয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। এই ধাক্কা ভুলে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে ফের অস্কার ব্রুজনের উপরেই ভরসা রাখে ম্যানেজমেন্ট। দল গঠনের ক্ষেত্রে এবার এই স্প্যানিশ কোচের পছন্দকেই গুরুত্ব দিতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। সেজন্য, বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর দলের বিদেশি ফুটবলারদের দিকেই প্রথম নজর পড়েছিল সকলের। যার মধ্যে একটা সময় ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল রবসন রবিনহোর নাম।

Advertisements

যদিও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তবে শুধুমাত্র এই ফরোয়ার্ড নয়। মাঝমাঠকে শক্তিশালী করতে আরেক ব্রাজিলিয়ান তারকার নাম ও উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্যাপকভাবে। তিনি মিগুয়েল ফিগুয়েরা (Miguel Figueira)। শেষ পর্যন্ত তাঁকেই চূড়ান্ত করে লাল-হলুদ শিবির। অবশেষে রবিবার ভোর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। তাঁকে নিয়েই সমর্থকদের ঢল নেমেছিল গোটা বিমানবন্দর চত্বরে। এই নয়া ক্লাবের জার্সিতে নিজের পুরনো ছন্দ বজায় রাখাই অন্যতম লক্ষ্য এই তারকার।

গত সিজনে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে বারংবার নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন বছর পঁচিশের এই ব্রাজিলিয়ান। মূলত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হলেও দলের প্রয়োজনে অ্যাটাকিং কিংবা ডিফেন্সিভ মিডে ও মেলে ধরতে পারেন নিজেকে। শেষ মরসুমে নয়টি ম্যাচ খেলে ৫টি গোলের পাশাপাশি ৬টি অ্যাসিস্ট ছিল এই হাইপ্রোফাইলের। ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে নিজেকে আদৌও কতটা মানিয়ে নিতে পারেন এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।