বর্তমানে প্রায় শেষ হয়ে এসছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে লিগ জয়ী দলের নাম। এছাড়াও প্রায় শেষের পথে দেশের দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ তথা আইলিগ। আগামী সোমবার আইএসএলের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে চূড়ান্ত হয়ে যাবে ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দ্বিতীয় দল। তার কিছুদিন পরেই শুরু হবে কলিঙ্গ সুপার কাপ। যেদিকে নজর রয়েছে দেশের সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। সেই মতো বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে একাধিক ফুটবল ক্লাব। আসলে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে মরসুম শেষ করতে মরিয়া একাধিক দল।
তবে এবার বদলে গিয়েছে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট। স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই আন্দাজ করতে পারছেন প্রত্যেকে। তবুও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে সকলের। পাশাপাশি এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে একাধিক ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের পাশাপাশি খুব একটা পিছিয়ে নেই দেশের প্রথম ডিভিশন লিগের অন্যান্য ক্লাব গুলি। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক হাইপ্রোফাইল বিদেশিদের দিকে নজর রয়েছে আইএসএল ও আইলিগের ক্লাব গুলির। কথাবার্তাও এগোতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো উঠে আসতে শুরু করবে তাঁদের যোগদানের কথা। এসবের মাঝেই এবার ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করলো মিগুয়েল ফিগুয়েরার (Miguel Ferreira) নাম। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। চলতি সিজনে দলের জার্সিতে খেলতে পেরেছেন প্রায় নয়টি ম্যাচ। তারমধ্যে ৫টি গোলের পাশাপাশি ছয়টি অ্যাসিস্ট ও থেকেছে তাঁর। মনে করা হচ্ছে সিজন শেষে বাংলাদেশ ছাড়তে পারেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি এবার আইএসএল খেলতে দেখা যাবে মিগুয়েলকে ?
বলাবাহুল্য, অস্কার ব্রুজন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বসুন্ধরা কিংসের একাধিক ফুটবলারদের দলে আসার কথা উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্যাপকভাবে। যার মধ্যে রবসন রবিনহোর পাশাপাশি শোনা গিয়েছিল মিগুয়েলের নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতে আসার বদলে নিজের দেশেই ফিরে যান রবিনহো। এমনকি মিগুয়েল নিয়ে উঠে আসেনি কোনও নয়া তথ্য। মরসুম শেষ হতে খুব একটা বাকি নেই এখন। তারমধ্যেই ফের জল্পনা। সেক্ষেত্রে আদৌ তিনি কলকাতার কোনও প্রধানে আসতে আগ্রহী হবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।