নাটকীয়তায় ভরা এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স (GT) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (MI) তিন উইকেটে হারিয়ে আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হওয়া এই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে একাধিকবার বন্ধ হয়ে গেলেও, শেষ ওভারে থ্রিলারে পরিণত হয় এবং রাত ১২:৩০ মিনিটে ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ১৫৫ রান করে ৮ উইকেট হারিয়ে। শুরুটা ভালো করলেও শেষদিকে গুজরাটের স্পিনারদের দাপটে ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। উইল জ্যাকস করেন ৩৫ বলে ৫৩ রান এবং সূর্যকুমার যাদব করেন ২৪ বলে ৩৫। দুজনে মিলে ৭১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হয় পতনের ধারা। হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার, ও জ্যাকস – তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন সাই কিশোর ও রশিদ খান। সাই কিশোর ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন, আর রশিদ খান ফেরান জ্যাকসকে। শেষদিকে করবিন বোশ করেন ২২ বলে ২৭ রান এবং দলকে কিছুটা সম্মানজনক স্কোর এনে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটের শুরুটা হয় নড়বড়ে। ট্রেন্ট বোল্ট শুরুতেই ফেরান সাই সুদর্শনকে। এরপর শুবমান গিল ও জস বাটলার মিলে ৭২ রানের জুটি গড়েন। তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ সহজেই জিতে নেবে গুজরাট। কিন্তু আশ্বিনী কুমার বাটলারকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে ফেরান মুম্বইকে। তারপর শারফেইন রাদারফোর্ড কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করে গুজরাটকে ডিএলএস স্কোরের চেয়ে এগিয়ে রাখেন।
ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন জসপ্রিত বুমরাহ। একের পর এক শুভমন গিল ও শহরুখ খানের উইকেট তুলে নিয়ে গুজরাটের রানচাকা আটকে দেন। এরপর বোল্ট ফেরান রাদারফোর্ডকে, এবং আশ্বিনী কুমার ফেরান রশিদ খানকে। তখন বৃষ্টি নামে এবং মুম্বই পাঁচ রানে এগিয়ে ছিল ডিএলএস স্কোরে।
শেষে খেলা শুরু হয় রাত ১২:৩০ মিনিটে। গুজরাটের দরকার ছিল ১৫ রান শেষ ওভারে। ব্যাট হাতে নামেন রাহুল তেওটিয়া ও আর্শাদ খান। দুইজন মিলে শেষ বলে প্রয়োজনীয় ১ রান নিয়ে গুজরাটকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এই জয়ের ফলে গুজরাট টাইটান্স এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো এবং প্লে-অফে জায়গা পাওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেল।
এই ম্যাচটি ছিল আইপিএল ইতিহাসে অন্যতম রোমাঞ্চকর একটি ম্যাচ – যেখানে দুর্দান্ত বোলিং, আবহাওয়ার বাঁধা এবং শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ভরপুর ছিল। দর্শকরা এমন একটি ম্যাচ বহুদিন মনে রাখবেন।