Meenakshi: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার মেয়ে মীনাক্ষী

লিভারপুল ইংল্যান্ড ১৪ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় মহিলা বক্সিংয়ের নতুন তারকা মিনাক্ষী হুডা (Meenakshi) ২০২৫ সালের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত জয় পেলেন। ৪৮ কেজি বিভাগে তিনি মঙ্গোলিয়ার…

Meenakshi gold winner

লিভারপুল ইংল্যান্ড ১৪ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় মহিলা বক্সিংয়ের নতুন তারকা মিনাক্ষী হুডা (Meenakshi) ২০২৫ সালের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত জয় পেলেন। ৪৮ কেজি বিভাগে তিনি মঙ্গোলিয়ার লুতসাইখান আলতান্তসেগকে ৫-০ এর স্কোরলাইনে পরাজিত করে এই সাফল্য অর্জন করেছেন। এই জয়ের মাধ্যমে ভারত তার দ্বিতীয় সোনার পদক হাতে তুলে নিয়েছে।

মেয়েদের বক্সিংএ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। লিভারপুলের এই আন্তর্জাতিক মুক্তায়ন প্রতিযোগিতায় মিনাক্ষীর এই অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স দেশব্যাপী গৌরব এনে দিয়েছেন।২৪ বছর বয়সী মিনাক্ষী হরিয়ানার রোহতক জেলার রুরকি গ্রামের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এমন একটি অসাধারণ পারফরম্যান্স ভারতীয় বক্সিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

   

সেমিফাইনাল ম্যাচে তিনি প্রথম রাউন্ড থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ দেননি। তাঁর দ্রুত পাঞ্চ এবং কাউন্টার অ্যাটাকে মঙ্গোলিয়ান বক্সারকে পুরোপুরি বিভ্রান্ত করে দিয়েছিলেন। রেফারিরা সকলেই মিনাক্ষীর পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা তাঁর দক্ষতা এবং মানসিক শক্তির প্রমাণ।

এই জয়ের পর তিনি ফাইনালে খেলবেন কাজাখস্তানের নাজিম কিজাইবায়ের বিপক্ষে, যিনি একাধিকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন। এই ম্যাচটি জুন-জুলাই মাসে অ্যাস্তানায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব কাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হবে।

মিনাক্ষীর এই সাফল্য ভারতীয় বক্সিং টিমের জন্যও একটি বড় অর্জন। এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত এখনও পর্যন্ত চারটি পদক নিশ্চিত করেছে। মিনাক্ষীর পূর্বে জেসমিন লম্বোরিয়া (৫৭ কেজি) এবং নুপুর শেওরান (৮০ কেজি)ও তাঁদের সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে প্রবেশ করেছেন, যা ভারতকে একাধিক সোনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

Advertisements

জেসমিন পোল্যান্ডের জুলিয়া সেরেমেটার বিপক্ষে এবং নুপুর পোল্যান্ডের আগাতা কাচমারস্কার বিপক্ষে খেলবেন। এই তিনজনের মধ্যে মিনাক্ষীর জয় ভারতের দ্বিতীয় সোনার দাবিদার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, কারণ তাঁর পূর্ববর্তী ম্যাচগুলিতে তিনি সবগুলিতেই ৫-০ স্কোরে জিতেছেন। চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম রাউন্ডে বাই পেয়ে তিনি চীনের ওয়াং কিউপিং এবং ইংল্যান্ডের অ্যালিস পাম্ফ্রেয়কেও একইভাবে পরাজিত করেছেন।

মিনাক্ষীর জীবনী অনেকটাই অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর বাবা শ্রীকৃষ্ণ হুডা রোহতক রাস্তায় অটোরিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করেন। পরিবারের ছয় সদস্য তিন বোন এবং এক ভাই একটি পুরনো বাড়িতে থাকতেন, যেখানে কোনও জমি বা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না। মিনাক্ষী যখন কিশোরী বয়সে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বক্সিং শুরু করতে চেয়েছিলেন, তখন পরিবারের বিরোধিতা ছিল।

১১,০০০ টাকার কমে আসছে POCO M7 Plus 5G, ৭০০০mAh ব্যাটারি ফোনের লঞ্চ সোমবার

মা সুনীতা দেবী এবং বাবা উভয়েই চিন্তিত ছিলেন যে বক্সিংয়ের খরচ বহন করা যাবে না। কিন্তু মিনাক্ষীর জেদ এবং দৃঢ়তা সবকিছু জয় করে নেয়। তিনি ধার করা গ্লাভস এবং জুতো পরিয়ে প্রশিক্ষণ নিতেন। কোচ বিজয় হুডার নির্দেশনায় তিনি ধীরে ধীরে দক্ষতা অর্জন করেন। বাবা শ্রীকৃষ্ণ বলেন, “আমার মেয়ে দুনিয়া জয় করবে।” তাঁরা মিনাক্ষীর পুরস্কারের অর্থ থেকে একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড অটো কিনেছিলেন, যা পরিবারের জীবনযাত্রা সহজ করেছে।