আইএসএলের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না এফসি গোয়ার (FC Goa)। খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। আটকে যেতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে।
কিন্তু ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথেই নিজেদের পুরনো ছন্দ ফিরে পায় মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়া। সেই সুবাদে অনায়াসেই তাঁরা উঠে আসে পয়েন্ট টেবিলের অনেকটাই উপরের দিকে। এছাড়াও ম্যাচ যত এগোয় ততই সকলকে চমকে দিতে শুরু করেন ব্রাইসন ফার্নান্দেজ। যারফলে একটা সময় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পাশাপাশি আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে আসে এই ফুটবল ক্লাব।
ডিসেম্বরের পর এই নতুন বছরের শুরু থেকে ও দেখা গিয়েছে সেই একই ছন্দ। প্রথম লেগের মতো এই দ্বিতীয় লেগে ও তাঁরা অনায়াসেই পরাজিত করে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে। মাঝে খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির কাছে ধাক্কা খেতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাবের। সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে আবার ও ছন্দে ফেরে সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। যা বজায় থেকেছে গত মুম্বাই সিটি এফসি ম্যাচে। পূর্ণ সময়ের শেষে দুইটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বোরহা হেরেরাদের দল।
যারফলে এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়ে গিয়েছে গোয়া শিবির। বর্তমানে ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট রয়েছে গোয়ার। এক্ষেত্রে এক ম্যাচ বেশি খেলে প্রায় ১০ পয়েন্টের পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন। তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শনিবার কেরালার বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত করতে হবে ইকের গ্যারেক্সোনাদের। গত কয়েকদিন ধরে সেইমতো নিজেদের প্রস্তুত করছেন দলের ফুটবলাররা। অপরদিকে, গত কয়েক ম্যাচে খুব টাইট ভালো পারফরম্যান্স না থাকায় সুপার সিক্সের লড়াইয়ে নিজেদের ধরে রাখতে হলে গোয়া ম্যাচে জয় পেতে হবে আদ্রিয়ান লুনাদের।
সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই ম্যাচ। তাই লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন মানোলো মার্কুয়েজ। তাই ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যথেষ্ট সাবধানী থাকতে দেখা যায় এই স্প্যানিশ কোচকে। তিনি বলেন, ” আসন্ন এই ম্যাচ যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে। তাছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি যথেষ্ট ভালো দল। বিশেষ করে তাঁদের দলের আক্রমণভাগ। আমি তাঁদের প্রাক্তন কোচকে সম্মান করি কিন্তু আমার মনে হয় তাঁরা মরসুমের প্রথমার্ধের তুলনায় এখন বেশি ছন্দে রয়েছে।” অপরদিকে, গত ম্যাচের হতাশা ভুলে গোলের মুখ খোলাই এখন প্রধান লক্ষ্য কোয়ামি পেপরাদের।