গোয়ার ফুটবলে (Goa Football) নতুন সংযোজন। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন (AFC Champions League Two Qualifier) ম্যাচের আগেই বড় ঘোষণা করল মানোলো মার্কুয়েজের (Manolo Marquez) দল এফসি গোয়া( FC Goa)। ২০২৫-২৬ মরসুমে আগে তারা চুক্তিবদ্ধ করেছে প্রতিভাবান মিডফিল্ডার হার্শ পাত্রেকে (Harsh Patre)। ২২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় গোয়ার মাটি থেকেই উঠে এসেছেন। আর এবার নিজ রাজ্যের ক্লাবেই ফিরলেন এক অন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে।
হার্শ পাত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল গোয়া ফুটবল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (GFDC) হয়ে খেলে। সেখান থেকেই এফসি গোয়ার নজরে আসেন তিনি। ২০১৮-১৯ মরসুমে ফেডারেশনের জুনিয়র লিগে গোয়ার অনূর্ধ্ব ১৫ দলের বিপক্ষে অসাধারণ খেলে নজর কাড়েন। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তাঁর টেকনিক্যাল দক্ষতা, খেলার বুদ্ধিমত্তা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এফসি গোয়ার স্কাউটদের মুগ্ধ করে।
এফসি গোয়ার ডিরেক্টর অফ ফুটবল, লোকেশ ভেরওয়ানি বলেন, “আমরা প্রথম হার্শকে দেখি ২০১৮-১৯ মরসুমে। তখন ওএফসি গোয়ার অনূর্ধ্ব ১৫ দলের বিপক্ষে খেলছিল। ওর টেকনিক, গেম সেন্স আর ডিসিশন মেকিং দেখে আমরা মুগ্ধ হই। তখনই মনে হয়েছিল, একদিন ওকে আমাদের দলের জার্সিতে দেখতে চাই।”
গোয়া ফুটবল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল থেকে উঠে আসার পর হার্শ নির্বাচিত হন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ‘ইন্ডিয়ান অ্যারোজ’ প্রকল্পে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রজেক্টটি তরুণ ভারতীয় খেলোয়াড়দের প্রফেশনাল ফুটবলের স্বাদ দিতে শুরু করেছিল। আই-লিগে খেলতে নেমে হার্শ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, শারীরিক ফুটবলের মধ্যেও নিজের স্কিলের পরিচয় দেন। সেখানে হার্শের ফুটবল কেরিয়ারে এই অভিজ্ঞতা ছিল অমূল্য।
গোয়া বরাবরই পরিচিত তাদের টেকনিক্যাল ফুটবলারের জন্য। এখানকার মাঠে বড় হওয়া ছেলেরা ছোটবেলা থেকেই উন্নত বল কন্ট্রোল, স্পেশিয়াল অ্যাওয়ারনেস এবং চাপের মধ্যেও বল ধরে রেখে খেলার ক্ষমতা অর্জন করে। হার্শ পাত্রে সেই গোয়ান ঘরানার এক প্রকৃত প্রতিনিধি।
এফসি গোয়া বরাবরই এই ধরণের খেলোয়াড়দের গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের ফুটবল দর্শন আক্রমণাত্মক এবং বল কন্ট্রোল নির্ভর, যেখানে টেকনিক্যাল ফুটবলাররা প্রধান ভূমিকা পালন করে। হার্শ পাত্রে সেই ছাঁচে পুরোপুরি খাপ খেয়ে যায়।
হার্শের ফুটবল কেরিয়ারে এফসি গোয়া একাধিকবার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইন্ডিয়ান অ্যারোজে যোগ দেওয়ার আগে ও পরে, দু’বারই ক্লাব হার্শকে সই করানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি। তবুও ক্লাবের স্কাউটরা তাঁর উপর নজর রাখতেন নিয়মিত, প্রতি মরসুমে তাঁর উন্নতি দেখে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ত।
View this post on Instagram
এবার সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। হার্শ পাত্রে নিজ বাড়ির ক্লাবে, নিজের পরিচিত পরিবেশে ফিরে এলেন। এখন এফসি গোয়া আশা করছে, হার্শ শুধু দলের মিডফিল্ডে প্রাণ ফেরাবেন না, গোয়ার ফুটবলের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল করে তুলবেন। একজন ফুটবলারের জন্য সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত তখনই আসে, যখন তিনি নিজের রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন।
Manolo Marquez team FC Goa signing of Goan midfielder Harsh Patre ahead of AFC Champions League Two Qualifier