গত রবিবার নিজেদের ঘরের মাঠে আইএসএলের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নেমেছিল এফসি গোয়া (FC Goa)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম দুর্বল দল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে একটি মাত্র গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করে ফেলে বোরহা হেরেরারা। দলের হয়ে একটিমাত্র গোল করে যান ব্রিসন ফার্নান্দেজ। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারের শেষের দিকেই কর্নার আদায় করে নিয়েছিল গোয়া শিবির। বোরহা হেরেরা সেই ভাসানো বল থেকেই চলে আসে গোল। এক্ষেত্রে লাল-হলুদের আক্রমণভাগ নিয়ে উঠতে চলেছে একাধিক প্রশ্ন।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোয়া দলের একচ্ছত্র দাপট থাকলেও পরবর্তীতে বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই বদলাতে শুরু করে সমস্ত কিছু। ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেন দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস থেকে শুরু করে পিভি বিষ্ণুরা। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে দাপুটে ডিফেন্ডার ওডেই ওনাইন্ডিয়ার পাশাপাশি সন্দেশ ঝিঙ্গান এবং আকাশ সাঙ্গওয়ানদের মতো ডিফেন্ডারদের সক্রিয়তায় বারংবার ধাক্কা খেতে শুরু করে মশাল ব্রিগেডের আক্রমণভাগ। নয়া বিদেশি ফুটবলার রিচার্ড সেলিস শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
অপরদিকে এই ম্যাচে জয় আসলেও ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে একেবারেই খুশি নন গোয়া দলের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” বলতে গেলে এটা এক অদ্ভুত ম্যাচ ছিল। হয়তো এই সিজনের আইএসএলে আমরা সবচেয়ে খারাপ এই ম্যাচটাই খেললাম। কিন্তু আমাদের কাছে অনেক সুযোগ ছিল। পোস্টে লেগে একটা বল ফিরে আসে। তাছাড়া সাদিকু একটি সুযোগ হাতছাড়া করে।আমি খুব একটা সন্তুষ্ট নই। বরং হতাশ। দল যদি এইভাবে অধিকাংশ ম্যাচ খেলে তাহলে জেতার চেয়ে হারার সম্ভাবনা বেশি।”
তবে এই ম্যাচের জয়ের ফলে টানা এগারো ম্যাচ অপরাজিত থাকল এফসি গোয়া। এই প্রসঙ্গে মানোলো বলেন, ” এই লিগে টানা ১১টি ম্যাচ অপরাজিত থাকা খুবই কঠিন কারণ প্রতিটি খেলাই কঠিন এবং সাতটি জয় ও চারটি ম্যাচ ড্র করা খুব একটা সহজ নয়। এই কারণেই আমরা এখন টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছি। এই ১১টি ম্যাচ শুরুর আগে, আমরা নীচে থেকে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে ছিলাম। আশাকরি দল এবার ভালো পারফরম্যান্স করবে।”